করোনাভাইরাসের মতো প্রাদুর্ভাব কেন এত দ্রুত ছড়ায় এবং কীভাবে এটি “নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে”?
কোভিড-১৯ হচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি দ্বারা সৃষ্ট রোগ। চীনের উহান প্রদেশে প্রথমবার কোভিড-১৯ সনাক্ত হওয়ার পর থেকে এক এক করে আরও মানুষ সংক্রমিত হওয়ার খবর আসতে থাকে। মাত্র তিন-চারমাস সময়ের ব্যবধানে রোগটি যেন প্রতিনিয়ত বেশ দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে এই রোগের বিস্তার কমানো যেতে পারে। এর জন্য সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং ঘর থেকে প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না। আর এভাবেই মানুষকে “সামাজিকভাবে একে অন্যের থেকে দূরত্ব” বজায় রাখতে হবে।
তবে এর বিস্তার কমানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে মাসের পর মাস কোভিড-১৯ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যেতে থাকবে।
আশার কথা হলো যে, রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য আরও কিছু পন্থা রয়েছে। সর্বোপরি, স্বাস্থ্যসেবা- পেশাদা্ররা মানুষকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে, যত বেশি সম্ভব ঘরে সময় কাটাতে এবং একে অন্যের থেকে দূরত্ব বজার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। মানুষজন যদি তাদের ঘর থেকে কম বের হয় এবং একে অন্যের সাথে মেলামেশা যথেষ্ট কমিয়ে দেয় তাহলে ভাইরাস সংক্রমনের সুযোগ অনেকটাই কমে আসবে।
কিন্তু এর পরও কিছু মানুষ বাইরে বের হবেই। হয়তো তারা কাজের জন্য কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে চাইলেও নিজেদের ঘরে থাকতে পারবেন না অথবা অনেকে হয়তো এমনিতেই বিপদ সংকেতের তোয়াক্কাই করবেন না। তারা কেবলি নিজেরাই রোগের ঝুঁকিতে থাকবে না বরং তারা অন্যান্য মানুষের মধ্যে সিমুলাইটিস ছড়িয়ে দেওয়ার বাহক হিসেবেও কাজ করবে।
Leave a Reply