মিরসরাই সংবাদদাতা : সন্দেহ নেই যে ‘করোনা’ অতীতের মতোই মানবজাতিকে ‘আল্লাহ’ কর্তৃক নির্দেশিত পথে পরিচালিত করার লক্ষ্যে ভয়ানক শাস্তিগুলোর একটি – যেমন নেয়া হয়েছিল ফেরাউন, আদ, থামুদ, নূহ (আ:) ও লুথ (আ:) এর লোকদের উপর। লুথ (আঃ) এর সময়ে সমকামীদের (সমকামী ও লেসবিয়ান) বিরুদ্ধে আল্লাহতায়ালা কর্তৃক অসংখ্যবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ‘অনুশোচনা’ না করায় তীব্র বাতাস, শিলাবৃষ্টি ও ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে’র মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন পুরো জাতি। মহান ‘সৃষ্টিকর্তা’ কর্তৃক প্রদত্ত শাস্তিগুলোর ‘লক্ষ্য’ ও ‘উদ্দেশ্য’ সম্ভবতঃ একই: ১) মানবজাতি একমাত্র সর্বশক্তিমান ‘আল্লাহ’র একত্মবাদেই বিশ্বাস করুক, এবং ২) তারই নির্দেশিত পথে পরিচালিত হউক। আমরা পুরো মানবজাতি যদি ভয়ানক এ সময়ে আল্লাহর কাছে আমাদের কৃতকর্মের জন্যে ‘ক্ষমা’ চেয়ে তারই একত্ববাদে বিশ্বাসী হয়ে – তারই নির্দেশিত পথে পরিচালিত হই – তাহলে অবশ্যই আল্লাহতায়ালা চলমান মহাবিপদ থেকে সমস্ত মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষাকারী। সর্বশক্তিমান আল্লাহ, যার হাতে আমাদের সকলের জীবন ও মৃত্যু – তিনি চাইলে বাংলাদেশকে ইতিহাসের নজিরবিহীন চলমান এই মহামারী থেকে ‘রক্ষা’ করতে পারেন। প্রধান কারণ সমূহ হতে পারে: ১) আমাদের অধিকাংশ মানুষই অন্ধভাবে আল্লাহতায়ালার একত্ববাদেই বিশ্বাস করে ও ভয় করে ২) আমরা অপরাধের জন্যে আল্লাহতায়ালার কাছেই গোপনে বা প্রকাশ্যে অনুশোচনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করি ৩) ‘জাতি’ হিসেবে আমরা কখনোই মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অপরাধ করিনি ও সমকামিতা জাতীয় কোনো বিষয়কে কখনোই প্রশ্রয় দেইনি। আল্লাহতায়ালা বাংলাদেশীসহ সকল মানবজাতিকে ক্ষমা করে দিন, তারই নির্দেশিত পথে পরিচালিত করুন আর করোনার নিষ্ঠুর হাত হতে মানবজাতিকে হেফাজত করুন – আমীন। তিনিই সর্বাধিক দয়ালু, পরম করুনাময়, মহাপবিত্র ও বিচার দিবসের মালিক। ছবি: মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে মিরসরাই উপজিলার উত্তর ভূঁইয়া গ্রামের তরুণরা অসহায় মানুষদের মধ্যে ‘মাস্ক’ ও ‘খাদ্য সামগ্রী’ বিতরণ এবং সচেতনতা সৃষ্টি করছে।
Leave a Reply