1. admin@lalsabujerdesh.com : ডেস্ক :
  2. lalsabujerdeshbd@gmail.com : Sohel Ahmed : Sohel Ahmed
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন নামধারী সাংবাদিক ও ২৪ জন অসাংবাদিক সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা। নিহত সেনা সদস্য নাজিম উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চার বছরের কণ্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে (৫৫) বছরের বৃদ্ধা আটক সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বীর শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেননি বঙ্গবন্ধু : ড.কলিমউল্লাহ খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ১ মার্চ মাস থেকেই কার্যকর আজ বিশ্বনাথে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের কর্মসূচী কবি এস.পি.সেবু ভৈরবের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক আব্দুল হালিম ইস্পাহানীয়ানস্’৮৫ মিলন মেলা পালিত।

ভৈরবে ১০ হাজার পাদুকা কারখানা বন্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০
  • ৬২০ বার

নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের কারণে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাদুকা কারখানা ও পাইকারি মার্কেট গত একমাস ধরে বন্ধ। এখানে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কারখানা রয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করেন। পাদুকা কারখানাকে কেন্দ্র করে ভৈরবে ১০টি পাইকারি মার্কেট গড়ে উঠেছে। পাদুকার উৎপাদন ও মার্কেট বন্ধ থাকায় লক্ষাধিক শ্রমিক ও কর্মচারীর জীবনে নেমে এসেছে চরম হতাশা। রোজা শুরু হয়েছে। একমাস পরই ঈদুল ফিতর। রোজার শুরুতেই পাদুকার বেচাকেনা শুরু হয়ে যায়। এর একমাস আগেই পাদুকা কারখানাগুলোর উৎপাদন ২-৩ গুণ বেড়ে যায়। ইসর এ সময়টাতে পাদুকার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জেলার পাদুকা ব্যবসায়ীরা ভৈরবে আসেন। এখানকার পাইকারী মার্কেট থেকে তারা পাইকারি দরে লাখ লাখ টাকার পাদুকা নিয়ে যান। ভৈরব উপজেলা সংলগ্ন হাজি ফুল মিয়া মার্কেটটি পাদুকার বৃহৎ মার্কেট। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর রমজানের শুরুতেই বেচাকেনার ধুম পড়ে মার্কেটগুলোতে। স্থানীয় পাদুকা কারখানায় ব্যাপকভাবে চলে উৎপাদন।দোকানগুলোতে চাহিদা মতো পাদুকা সাপ্লাই দেয়া হয়। ভৈরবে উৎপাদিত পাদুকা মানের দিক দিয়ে উন্নত। ভারত, বার্মা ও চাইনার উৎপাদিত পাদুকার মতই এখানকার কারখানায় পাদুকা উৎপাদন হয়

বলে জানান ব্যবসায়ীরা। পাদুকাকে কেন্দ্র করে ভৈরবে প্রায় দেড় লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। রোজার মাসের আয়-উপার্জন দিয়ে ইসর সারা বছর বেঁচে থাকেন। একমাস যা আয় করেন তা দিয়েই ১১ মাস ভালোভাবে সংসার চালাতে পারেন বলে জানান পাদুকা ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। করোনাভাইরাসের কারণে গত একমাস যাবত ভৈরবের সব কারখানা বন্ধ। শুধু তাই নয় পাইকারি মার্কেটগুলোও বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় পাদুকা মালিক, শ্রমিক ও কর্মচারীরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। শ্রমিকদের অনেকের ঘরে খাবার নেই। নেই কোনো কাজ। কাজ না করলে মালিকরা কোনো বেতন-ভাতা দেন না বলে জানান একাধিক শ্রমিক। ভৈরব পাদুকা মালিক সমিতির সভাপতি মো. আল-আমিন জানান, করোনার কারণে পাদুকা ব্যবসায় এবার ধস নেমেছে। কারখানায় নেই কোনো উৎপাদন, দোকানে নেই কোনো বেচাকেনা। সবই বন্ধ। এতে ভৈরবের লক্ষাধিক মালিক, কর্মচারী ও শ্রমিক এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে কিন্তু পাদুকা শিল্পের শ্রমিকরা প্রণোদনার আওতায় কি-না আমরা জানি না। অবিলম্বে পাদুকার দোকান ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি। পাদুকা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ মিয়া বলেন, রমজান মাসেই আমরা প্রচুর বেচাকেনা করি। করোনায় পাদুকা শিল্প ধ্বংস হওয়ার পথে। এখন লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী মালিক সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..