সিটি রিপোর্টার ঃ রুপনগরে সেই সুইটি এক রিকশা চালককে মেরে দলীয় পদ হারিয়ে সমালোচনা ঝড় উঠে পুরো এলাকায় এবার “অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে” ত্রান চাওয়ার অপরাধে মেরে রক্তাক্ত করলো। ঘটনাটি ঘটে ২১ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে রাজধানীর রুপনগর থানা ধীন এলাকায়। পুলিশ শুধু জিডি নিয়েই রভ সান্ত্বনা! জানা যায় সুইটি বার বার ত্রানের আস্বাস দিয়ে গর্ভবতী এক নারীর কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিলেও ত্রান দেননি তাকে। সুইটি তার দলবল নিয়ে পুনরায় আবার ভোটার আইডির ফটোকপি চাইলে অনাহারে থাকা গর্ভবতী নারী বলেন, বার বার ভোটার আইডি নেন কিন্ত ত্রান তো দেননা আপা। এ কথা বলার সাথে সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে গর্ভবতী নারীকে সবার সম্মুখে মারধর করে সুইটি সহ তার লোকজন। গর্ভবতী নারী প্রানে বাচতে দৌড়ে ঘরে গেলে সুইটি ক্যাডার বাহিনী তাকে ঘর থেকে নেটে হেঁচড়ে বের করে আবারও মারতে থাকে। ভুক্তভোগীর চিৎকারে আসেপাশের লোকজন আসলেও সুইটির সামনে কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস করেনা। পরে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসি দুঃখ প্রকাশ সুইটির বিরুদ্ধে থানা মামলা না নিয়ে একটা সাধারন ডাইরি নিলেন। জিডির লেখা দেখে বুঝা যায় এখানেও শুভংকরের ফাঁকি) যাই হোক সেদিকে নাই বা গেলাম। প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে অনাহারে থাকা মানুষের ঘরে ঘরে ত্রান সামগ্রী পৌছে দেওয়া ব্যবস্থা করছেন। সেই ত্রানের আসায় বার বার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি সুইটিকে দিলেও কোন ত্রান সামগ্রী না পেয়ে প্রতিবাদ করায় সুইটি বাহিনীর কাছে অপমানি লাঞ্চিত হতে হলো গর্ভবতী নারী কে। সুইটির মত মহিলারা এত অপরাধ করেও কিভাবে কাউন্সিলরের মত লোকের পাশে তারা থাকে হতবাক এলাকাবাসী! অন্যদিকে গত বছরে এক রিকশা ওয়ালাকে পিটিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সম্পাদিকার পদ হারিয়ে সমালোচিত হন সুইটি। কিন্ত তিনি আওয়ামিলীগের পদ হারিয়েও নিজের ক্ষমতা জাহির করে বেড়ান বেশ দাপটের সাথে। সুইটি বর্তমানে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর টেনুর সহকর্মী হিসেবে পরিচয় দিলেও কাউন্সিলর তা অস্বীকার করে বলেন, সুইটি আমার লোক,না, ভুক্তভোগী যদি আমার কাছে আসে তাহলে আমি তাকে আইনের মাধ্যমে সকল সহযোগিতা করবো। সুইটি কেন তাকে মারবে? এমন খবর শুনে কাউন্সিলর নিজেও দুঃখ প্রকাশ করেন।
Leave a Reply