করোনা ভাইরাস (COVID -১৯) বাংলাদেশে মূলতঃ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মধ্যেই সবচেয়ে বেশি আতংকের সৃষ্টি করেছে। নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলো করোনা ভীতির চেয়ে বেশি আতংকে আছে খাদ্য সমস্যা নিয়ে। বেসরকারী খাতের ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো তো বন্ধই হয়ে গেছে। দিন এনে দিন খায় যারা তাদের অবস্থা সত্যিই সংকটাপন্ন – চিকিৎসার জন্যে না, এসমস্ত পরিবারগুলোর মূল সমস্যা ক্ষুধা নিবারণ। সরকারী বরাদ্দকৃত খাদ্য সাহায্য নিয়ে যা হচ্ছে তা তো সবাই দেখছে। আর মজার ব্যাপার হলো এ ধরণের দুষ্ট চরিত্রের লোকদের বিরুদ্ধে কিছু বলাও অপরাধ। এদের বিরুদ্ধে কিছু বললে ভয়ানক বিপদ হয়ে যেতে পারে যা হতে পারে করোনা’র চেয়েও মারাত্মক। তবে আনন্দের বিষয় হলো অনেক সাদা মনের মানুষ এগিয়ে এসেছে অসহায় মানুষগুলোর পাশে। উচ্চবিত্তরা যখন কোরোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে আরো সম্পদ আহরণে ব্যস্ত – তখন এদেশের অসহায় মানুষগুলোকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে ‘সাদা মনে’র মানুষগুলো। খুশির ব্যাপার হলো এদের অধিকাংশই তরুণ – তরুণরাই আসলে সমাজ পরিবর্তনে আগামী দিনের কান্ডারি। এদের কাছে নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশ ও মানুষের স্বার্থ অনেক বড়। তরুণগণ ভালোভাবেই জানে যে অসহায়দেরও জীবন আছে। আর প্রতিটি জীবনই মূল্যবান। তাই তারা এগিয়ে এসেছে অসহায় মানুষগুলোকে সেবা করার জন্যে –
বিনা মূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ আর খাদ্য বিতরণের মাধ্যমে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন Virtual Patient Care Centre (VPCC) গঠন করে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। এদের অধিকাংশই নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর – নিজেরাই বেঁচে থাকে সংগ্রাম করে। তারপরও তারা এগিয়ে এসেছে সামাজিক দায়িত্ব নিয়ে। নিজেদের কষ্টে অর্জিত সঞ্চয় আর সহকর্মী বন্ধুদের সহযোগিতায় তারা বিতরণ করে যাচ্ছে গরিব ও অসহায় মানুষদের মধ্যে। কেউ প্রাইভেট পড়িয়ে প্রাপ্ত অর্থ আবার কেউ মাসিক পেনশনের টাকাটাও বিলিয়ে দিচ্ছে মানুষের কল্যানে – এটাইতো মনুষত্বের সৌন্দর্য! কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজিলার আমাদের প্রিয় বন্ধু, আমেরিকার জর্জিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মুরাদ বগর উপজিলা আওয়ামীলীগ নেতা জনাব হুমায়ুন কবির কাউছার পর পর ৩ দিন নিজ এলাকার শতাধিক অসহায় পরিবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া উপজিলায় বন্ধু রিয়াজ উদ্দিন বাপ্পী খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন তার নিজ এলাকাতে। তরুণ বন্ধু অভি ফেনী সদর এলাকায় বিভিন্ন সময়ে শতাধিক অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। মিরসরাই উপজিলার সাতবাড়িয়া এলাকাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন মিশু মজুমদার।এদের সবাই VPCC’র সম্মানিত ভলান্টিয়ার্স।
এ ছাড়া VPCC’র অন্য ভলান্টিয়ার্সগণ আগামীতে আরো অনেক বেশি পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্যে প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে। খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি প্রতিদিনই চলছে বিনামূল্যে ডাক্তারি পরামর্শ। VPCC কাজ করছে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্লাটফর্মে আর মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে।
Leave a Reply