সিটি প্রতিবেদক: জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মাহে রমজানের প্রথম জুমআয় স্বল্পসংখ্যক মুসল্লির সামনে খুতবা দেন সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান।
রহমত মাগফেরাত ও নাজাতের এই মাসে মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআন মাজিদ নাজিল হয়। এ মাসের গুরুত্ব মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে বেশি।
খুতবার বয়ানের শুরুতে মিজানুর রহমান বলেন, আসুন আমরা সিয়াম পালন করে মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে ক্ষমা চাই। বেশি বেশি ইবাদত করি। তার দরবারে ফরিয়াদ করি তিনি যেন এ পবিত্র মাহে রমজানে আমাদের মহামারি থেকে মুক্তি দেন।
অন্যান্যবার এ সময় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে মূল চত্বর ছাড়িয়ে সড়কেও নামাজের কাতারের দৃশ্য দেখা যেত। ইসলামী ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হতো বই মেলা। এবারের চিত্র একেবারে উল্টো। নেই মুসল্লিদের ভিড়। বই মেলার সেই আয়োজনও নেই। তবে এদিন কয়েকজন হকারকে বই বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১১ মাস মাহে রমজানের অপেক্ষায় ছিলাম। এ মাস হচ্ছে ইবাদতের উৎসবের মাস। সারা বিশ্বের মুসলমান এ মাসের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব রোধে মসজিদগুলো খালি পড়ে আছে। এ দৃশ্য আমাদের কষ্ট দেয়। এ কেমন রোগ, বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের, ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের, বোনের সাথে ভাইয়ের, আত্মীয়ের সাথে আত্মীয়ের দেখা নেই। কোটি কোটি মুসলমান চোখের পানি ফেলে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করি। তিনি যেন আমাদের এ রোগ থেকে মুক্তি দেন।
তিনি আরও বলেন, রমজান ইমানদারকে মুত্তাকি হতে শেখায়। প্রতি মুহূর্তে মুমিন যেন আল্লাহকে ভয় করে, মানুষকে না ঠকায়, ধোঁকা না দেয়, হক নষ্ট না করে, সব ধরনের পাপ থেকে বিরত রাখে। ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়াতে শেখায় রমজান।
সবার প্রতি তিনি আহবান জানান, ঘরে সবাইকে নিয়ে নামাজ আদায় করি, বেশি বেশি ইবাদাত করি, কোরআন তেলাওয়াত করি, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দান করি, যাকাত আদায় করি। কোরআনের নির্দেশ মতো জীবনযাপন করবো।
জুমআর জামাতের পর তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন, যেন অতি দ্রুত মহামারি থেকে মানুষ মুক্তি পায়। আল্লাহ যেন সবার জীবনে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেন। মোনাজাতে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করেন তিনি।
Leave a Reply