চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ১৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এরমধ্যে চট্টগ্রামে প্রথম শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি ও একাধিক চিকিৎসকও রয়েছেন।
গত ৩ মার্চ চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ২ মে পর্যন্ত দুই মাসে চট্টগ্রামে ৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এরমধ্যে মারা গেছেন ছয়জন।
শনিবার (২ মে) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি রাইজিংবিডিকে বলেন, এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরী জেলায় সর্বমোট ৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শনিবার পর্যন্ত সর্বমোট ১৮ জন রোগী করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসক, প্রথম শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি ও তার ছেলেও রয়েছেন। তবে এক শিশুসহ ছয়জন মারা গেছেন। বর্তমানে আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১০ মাস বয়সি এক শিশু ও ১১ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে সাতকানিয়া উপজেলায় সর্বোচ্চ ১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর বাইরে সীতাকুণ্ডে তিনজন, বোয়ালখালীতে দুইজন, পটিয়ায় দুইজন, মিরশরাইয়ে দুইজন, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় একজন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। বাকিরা সব চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায়। বয়স ভিত্তিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি সর্বোচ্চ ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সি। এই সংখ্যা ২০ জন। ১০ মাস ও ৬ বছর বয়সি দুই শিশু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ বছরের শিশুটি মারা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীরা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সবারই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
Leave a Reply