1. admin@lalsabujerdesh.com : ডেস্ক :
  2. lalsabujerdeshbd@gmail.com : Sohel Ahmed : Sohel Ahmed
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন নামধারী সাংবাদিক ও ২৪ জন অসাংবাদিক সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা। নিহত সেনা সদস্য নাজিম উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চার বছরের কণ্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে (৫৫) বছরের বৃদ্ধা আটক সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বীর শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেননি বঙ্গবন্ধু : ড.কলিমউল্লাহ খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ১ মার্চ মাস থেকেই কার্যকর আজ বিশ্বনাথে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের কর্মসূচী কবি এস.পি.সেবু ভৈরবের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক আব্দুল হালিম ইস্পাহানীয়ানস্’৮৫ মিলন মেলা পালিত।

ভৈরবে সংবাদিকতার একাল-সেকাল

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ মে, ২০২০
  • ১৪৫ বার

#প্রেক্ষাপট-১

আসাদুজ্জামান ফারুক: ভৈরবের সাংবাদিকতা মূলত শুরু হয় স্বাধীনতা পূর্ব থেকে। তখন দেশে হাতেগুনা কয়েকটি সংবাদপত্র ছিল। টিভি সাংবাদিকতা তখন ছিলনা। দেশ স্বাধীনতার পর কয়েকটি সংবাদপত্র প্রকাশিত হত। ১৯৭২ সালে এদেশে প্রচারবহুল পত্রিকা ছিল দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক বাংলার বাণী, ইংরেজী দৈনিক অবজারভার, সরকারী পত্রিকা দৈনিক বাংলা ইত্যাদি।

তারপর ক্রমাগতভাবে অনেক দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ পায়। সেই সময়ে দেশে শুধু বিটিভি ছিল। বিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি ছিল সারাদেশে। ১৯৯৯ সালে আ,লীগ সরকার বেসরকারী টেলিভিশন একুশে টিভির প্রথম অনুমোদন দেয়। ২০০০ সালের পর বেসরকারী অনেক টিভির অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর টিভি সাংবাদিকতা বৃদ্ধি পায় দেশে।

স্বাধীনতার পর ভৈরবে সাংবাদিক হিসেবে পরিচিতি ছিল বশীর আহমেদ, আবদুল হালিম মোল্লা, মোয়াজ্জেম হুসাইন, সিরাজুল হক, মেহেদী হাসান, আবদুল জব্বার মাস্টার, আবদুল হাকিম, হেকিম খন্দকার, এম এ মতীন প্রমূখ। তারপর ১৯৮৫ সালের পর সাংবাদিক পেশায় জড়িত হন, মোঃ শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক সামসুজ্জামান বাচ্চু।

মাধ্যমে শখের সাংবাদিকতা শুরু করেন আসাদুজ্জামান ফারুক। পরে ১৯৯০ সালে দৈনিক খবর পত্রিকার মাধ্যমে আসাদুজ্জামান ফারুক এর সাংবাদিকতার পেশা জীবন শুরু হয়। তারপর সাংবাদিকতায় আসেন বিশ্বজিৎ বণিক, আবদুস সবুর, আঃ মান্নান, কামরুজ্জামান কাজল, এম এ লতিফ মোস্তাফিজ আমিন, কামাল পাশা, আবদুর রউফ, মোঃ রফিকুল ইসলাম, কাজী ইসফাক আহমেদ বাবু, মোঃ ফজলুর রহমান, তাজ ভৈরবী, তুহিন মোল্লা, সুমন মোল্লা,গোলাম মোস্তফা,মাহিন মোল্লা, সোহেল সাশ্রু, মোঃ আলাল উদ্দিন। ২০০০ সালের পর নতুনভাবে সাংবাদিকতায় আসেন  সত্যজিৎ দাস ধ্রুব, বিল্লাল হোসেন মোল্লা, আদিল উদ্দিন,সোহেলুর রহমান, আনোয়ার হোসেন প্রমূখ। এরপর পর্যায়ক্রমে ২০২০ সাল পর্যন্ত যারা সাংবাদিকতায় এসেছে তারা হলো, এম এ হালিম, ওয়াহিদা রহমান পলি, আবদুল্লাহ আল মনসুর, এস এম বাকি বিল্লাহ, কাজী আবদুল্লাহ আল মাছুম, মোঃ আক্তারুজ্জামান, খাইরুল ইসলাম সবুজ, আবুল কালাম আজাদ, ডাঃ লতিফ, আল – আমিন টিটু, ফজলুর রহমান বাবু, শামীম আহমেদ, সোহেল সেন, এম আর রুবেল, সজীব আহমেদ, মোঃ শাহনুর, জাকির হোসেন কাজল, নাজির আলামিন, জামাল মিয়া, মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, এম আর হৃদয়, জয়নাল আবদীন রিটন, রাজীবুল হাসান, জ.ই পরশ, মোস্তাফিজুর রহমান ওয়াসিম, মিলাদ হোসেন অপু, জামাল উদ্দিন, জাকির হোসেন,আশরাফুল আলম, আফছার উদ্দিন তুর্জা, হাবিবুর রহমান,পলাশ আহমেদ,পূর্ণিমা হোসাইন, দোলন আক্তার সাধনা প্রমূখ। বর্তমানে দেশে প্রিন্ট, ইলেট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ভৈরবের সাংবাদিকতা দেশের যেকোন জেলার চেয়ে কম নয়। মাঠে ঘাটে চড়িয়ে বেড়াই ভৈরবের একঝাঁক সাংবাদিক। যেখানে খবর সেখানেই গণমাধ্যম কর্মীর উপস্হিতি দেখা যায়। এই দৌড়ে আমিও আছি। খবর পেলেই আমি ঘটনাস্হলে ছুটে যায়। সমাজের সব ধরনের খবর ভৈরবের সাংবাদিকরা প্রকাশ করে যাচ্ছে।

#প্রেক্ষাপটঃ২
প্রসঙ্গ- এনালগ সাংবাদিকতা

১৯৯২ সাল পর্যন্ত ভৈরবের সাংবাদিকতা ছিল এনালগ সাংবাদিকতা। প্রতিদিনের নিউজগুলি হাতে লিখে ডাকযোগে পাঠালে দুদিন পর পত্রিকায় প্রকাশ হত। তবে তখন জরুরী নিউজ হলে টেলিফোনে দেয়া যেত। তবে টেলিফোনের বিরম্বনা ছিল। তখন ভৈরব টেলিফোন একচেন্জটি ছিল এনালগ পদ্ধতি। ঢাকায় টেলিফোন করতে হলে একচেন্জ অফিসে বুকিং করে লাইনের জন্য দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করতে হত। লাইন পেলে উচ্চস্বরে কথা বলে ছোট আকারের নিউজ দেয়া যেত। নিউজটি পড়লে পত্রিকা অফিসে লিখে নিত। কোন দিন ফোন লাইন না পেলে নিউজ দেয়া যেতনা। পরে ডাকযোগে নিউজটি পাঠাতে হত। ছবি পাঠাতে হলে এনালগ ক্যামেরায় তুলে স্টুডিও থেকে ওয়াশ করে পাঠাতে হত। প্রতিটি নিউজ সাংবাদিকরা হাতে লিখতে হত। হাতের লেখা সুন্দর না হলে অফিসের বকাঝকা খেতে হত। এখনকার মত তৎক্ষণাৎ নিউজ পাঠাবার কোন সুযোগ তখন ছিলনা। তৎসময়ে পত্রিকাগুলি সিসার অক্ষরে ছাপানো হত। তাই প্রতিদিনের নিউজ অবশ্যই বিকাল ৫ টার মধ্য ফোনে দিলে পরদিন প্রকাশ হত। নতুবা এক দুইদিন পর পাঠানো খবরটি প্রকাশ হত। ১৯৯২ সালের পর ভৈরব টেলিফোন একচেন্জটি এনডব্লিউটিতে উন্নয়ন হলো। সেই সময়ে সাংবাদিকরা নিউজগুলি টেলিফোনে সরাসরি পাঠাত। তবে তখন ঢাকায় কল করলে প্রতি মিনিট ১৮/২০ টাকা বিল আসত। একটি নিউজ টেলিফোনে পাঠালে তখন ৮০/১০০ টাকা বা তারও বেশী বিল আসত। ১৯৯৫ সালে একমাত্র দৈনিক খবর পত্রিকাটি ফটোকম্পোজে ছাপা শুরু হয়। এরপর ক্রমাগতভাবে দেশের সকল প্রিন্ট পত্রিকাগুলি কম্পিউটার পদ্ধতিতে ছাপা শুরু হয়। এখানে উল্লেখ্য বরণ্য ব্যক্তিত্ব তথ্যপ্রযুক্তিবিদ জনাব মোস্তাফা জব্বার ( বর্তমানে মন্ত্রী) তৎসময়ে ১৯৯৬ সালের পর দেশের অধিকাংশ পত্রিকা কম্পিউটার প্রযুক্তিতে ছাপার ব্যবস্হা করেছেন। কম্পিউটারে বাংলা টাইপ বিজয় এর জনক মোস্তাফা জব্বার। তার জন্ম এদেশে হয়েছে বলেই এদেশের মানুষ ও গণমাধ্যমগুলি সহজে কম্পিউটারে বাংলা টাইপ করতে পারছে। ১৯৯০ সালে আমি যখন সাংবাদিকতায় আসলাম তখন আমার কোন ক্যামেরা ছিলনা। এমনকি তখনকার সিনিয়র সাংবাদিক বশীর আহমেদ, সিরাজুল হক, আবদুল হালিম মোল্লা, মোঃ শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু কারো ক্যামেরা ছিল না। সাংবাদিকতার পেশাটি তখন কঠিন ছিল।


#প্রেক্ষাপটঃ৩
প্রসঙ্গ:ডিজিটাল সাংবাদিকতায় আমার ভূমিকা ১৯৯২ সালে আমার একটি ফটোস্ট্যাট দোকান ছিল। জনতা ফটোস্ট্যাট প্রতিষ্ঠানের নাম। দোকানটি আমার ছোট ভাই হাবিবুর রহমান পরিচালনা করত। ১৯৯৩ সালে প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল হালিম মোল্লা আমাকে বললেন, ফারুক তোমার ফটোস্ট্যাট দোকানে একটি ফ্যাক্স মেশিন আনতে পার। এর আগে তার অনুরোধে আমি একটি ইয়াসিকা ক্যামেরা কিনেছিলাম। এই ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে তখন পত্রিকায় পাঠাতাম। হালিম চাচার বার বার অনুরোধে আমি ঢাকায় গিয়ে একদিন ফ্যাক্স মেশিনের দাম জানলাম। স্টেডিয়াম মার্কেটে এক দোকানে দাম যাচাই করে ভৈরবে ফিরে এলাম। বিষয়টি আমার ছোট ভাই হাবিবুরের সাথে আলোচনা করলাম। সাংবাদিকরা নিউজগুলি ফ্যাক্স করার পাশাপাশি প্রবাসীরা ভৈরবে ফ্যাক্স পাঠাবে এবং ভৈরবের অফিসগুলির কাজে লাগবে। অর্থাৎ কমার্শিয়াল চিন্তায় ৪০ হাজার টাকা দিয়ে আমি ভৈরবে প্রথম ফ্যাক্স মেশিন আনলাম। খুশী হলেন হালিম চাচা। তিনি বললেন ফ্যাক্স মোশিনে প্রথম নিউজটি তিনি পাঠাবেন। তখন তার একটি নিউজ প্রথম তার পত্রিকায় ফ্যাক্সে পাঠালে পরদিন প্রকাশ হয়।পরদিন প্রকাশিত নিউজ দেখে সকালে খুশীতে আমার বাসায় ছুটে আসলেন। দেখলাম ভীষন খুশী হলেন তিনি। এর আগে নিউজের কাজে আমি একটি টেপ রেকর্ডার কিনলাম। দাম ২ হাজার টাকা। তখন কোন নিউজের বক্তব্যের প্রমানের জন্য টেপ রেকর্ডার জরুরী ছিল। এই টেপ রেকর্ডটি এখনও আমার কাছে রয়েছে। তারপর ২০০০ হাজার সালে আমিই প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা কিনলাম।এর আগে আমি ভৈরবে প্রথম কম্পিউটার আনলাম ফটোস্ট্যাট দোকানে। আমার খালাত ভাই ভৈরবে বেড়াতে এসে একদিন আমার দোকানে এসে টাইপ মেশিনে কাজ করতে দেখলেন।তখন তিনি বললেন তোর দোকানে কম্পিটারে বাংলা টাইপ করতে কম্পিউটার আনতে পারিছ। আমি বললাম কম্পিউটার চালানোর কেউ নেইতো। তখন তিনি আমার ছোট ভাই হাবিবুর ও ছোটবোন আঁখিকে ঢাকায় নিয়ে দুইমাস প্রশিক্ষণ দিয়ে দিলেন। তৎসময়ে কম্পিউটারম্যান ছিলনা ভৈরবে।এরপর তারই পরামর্শে ১৯৯৫ সালে আমার দোকানে কম্পিউটার আনলাম। তখন থেকে নিউজগুলি কম্পিউটারে টাইপ করে ফ্যাক্সের মাধ্যমে পাঠাতে শুরু করলাম। ওই সময় থেকে ভৈরবে ডিজিটাল সাংবাদিকতা শুরু হলো।আমি সাংবাদিকতা করছিলাম বলেই ভৈরবে প্রথম ফ্যাক্স মেশিন, কম্পিউটার, এনালগ ও ডিজিটাল ক্যামেরা, টেপ রেকর্ডার কিনেছি। বলতে গেলে ভৈরবে আমার আগে কেউ এসব আমদানী করেনি। এসময়টাতে সাংবাদিকতার উন্নয়নে এসবকটির ভূমিকায় ছিলাম আমি। সেইসময়ে আমার কারণেই সাংবাদিকতার গতি বেড়েছিল। সেই সময়ে ভৈরবে কর্মরত সকল সাংবাদিক আমার দোকানে এসে কম্পিউটারে টাইপ করে প্রতিদিন ফ্যাক্সে নিউজ পাঠাত।


#প্রেক্ষাপটঃ ৪
আধূনিক ডিজিটাল সাংবাদিকতা শুরু
সম্ভবত ২০০৫ সালের পর ইমেল সৃষ্টি হয়। এসময়ে ভৈরবের সাংবাদিকরা কম্পিউটারে নিউজ টাইপ করে ইমেলে পাঠানো শুরু করে। এখানে উল্লেখ্য আমার দোকানের পাশাপাশি ভৈরব সিনেমা রোডে বলাকা কম্পিউটারে পরবর্তীতে ফ্যাক্স মেশিন, কম্পিউটার আনা হয়। এই দোকানেও স্হানীয় সাংবাদিকরা নিউজ পাঠাত ঢাকায়। প্রতিদিন আমাদের নিউজগুলি কম্পিউটারে টাইপ করলে দোকান মালিক আবদুল মতিন সবার নিউজগুলি ইমেলে পাঠিয়ে দিত। ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলি তখন ইমেলে পাঠানো শুরু করলাম। ভৈরবে মোবাইল ফোন এসেছে ১৯৯৮ সালে। তখন এনড্রোয়েট মোবাইল ছিলনা। তাই ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা হত। এরপর ফেসবুক সৃষ্টি হয় সম্ভবত ২০০৯ সালে। ফেসবুক সৃষ্টির পর এনড্রোয়েট মোবাইল সৃষ্টি হয়। এনড্রোয়েট মোবাইলে তখন ছবি তোলা শুরু হলে ডিজিটাল ক্যামেরা অচল হয়ে যায়। এখন ডিজিটাল ক্যামেরাও যাদুঘরে গেছে। আমার ২২ হাজার টাকায় সনি ডিজিটাল ক্যামেরাটি এখন আলমারীতে বন্দি হয়ে আছে। তবে ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে এখনও সাংবাদিকরা ছবি তুলে মিডিয়ায় পাঠিয়ে থাকে। টিভির জন্য এক সময় ক্যামেরায় ব্যবহার করা হত ক্যাসেট। এখন মেমোরী কার্ড ভিডিও ক্যামেরায় ব্যবহার হচ্ছে। তাই ক্যাসেট ব্যবহৃত ক্যামেরা যাদুঘরে গেছে। টিভিতে সাংবাদিকরা এখন মোবাইলে লাইভ দিতে পারে। কম্পিউটার ছাড়াও এখন টেবে নিউজ টাইপ করা যায়, ইমেলে পাঠানো যায় টেবে। শুধু তাই নয় এখন মোবাইলে টাইপ করে মোবাইলেই ইমেলে নিউজ পাঠানো আরও সহজ হয়েছে। সাংবাদিকরা যখন যেখানেই অবস্হান করে সেখান থেকে দ্রুত নিউজ ছবি পাঠানো মাত্র ৫ /১০ মিনিটের বিষয়। মোবাইলে ভিডিও করে ফেসবুক বা টিভিতে পাঠানো মূহর্তের বিষয়। ডিজিটাল আধুনিক সাংবাদিকতা এখন শুধু ভৈরবে নয় সারা দেশ, সারা দুনিয়ায় চলছে। সৌভাগ্যের বিষয় হলো আমি এনালগ ও ডিজিটাল আধুনিক সাংবাদিকতা সবগুলিই দেখেছি।

ভৈরবের সাংবাদিকতার উন্নয়নে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। ফ্যাক্স মেশিন, ডিজিটাল ক্যামেরা, টেপ রেকর্ডার, কম্পিউটার ভৈরবে এনে সাংবাদিকতার আধুনিক করতে আমার ভূমিকা ছিল সকল সাংবাদিকদের আধুনিকায়ন। আমার নিজের জন্য নয় সবার জন্য আধুনিক করতে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আমি এসব ভৈরবে প্রথমে না আনলে হয়তোবা অনেক বছর পর এসব ভৈরবে আমদানী হত। ভৈরবে সাংবাদিকদের এগিয়ে নিয়েছি, এটা আমার দায়িত্ববোধ থেকেই কাজ করেছি। আজ আমি প্রবীণ সাংবাদিক মরহুম আবদুল হালিম মোল্লা চাচাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমার সাংবাদিকতায় তার অনুপ্রেরনা ছিল প্রবল। তার কাছ থেকে সাংবাদিকতার অনেক কিছুই শিখেছি আমি। যদিও তার সাংবাদিকতার যুগটি ছিল অনেকটা এনালগ পদ্ধতি। তবে ফ্যাক্স মেশিন ও এনডাব্লিউটি টেলিফোন সময়টি তিনি অল্পসময় দেখে গেছেন। ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আমি দেখেছি তিনি কত কষ্ট করে সাংবাদিকতা করেছেন। ভৈরবের মাঠে ঘাটে তার বিচরণ ছিল। সব ধরনের নিউজ তিনি করতেন। ভৈরব প্রেসক্লাবে বসে নিউজ লেখার সময় আমার সামনে তার মৃত্যু হয়েছিল। হাজারও সালাম জানাই হালিম চাচাকে। প্রবীণ সাংবাদিক বশীর আহমেদ ভাইকেও আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তিনি ভৈরবের সাংবাদিকতার মান বজায় রেখে সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি আজও বেঁচে আছেন। কিন্তু সাংবাদিকতার জীবন থেকে কয়েক বছর আগে বিদায় নিয়েছেন। শ্রদ্ধা জানায় প্রবীণ সাংবাদিক এম এ মতীন ভাই ও শহীদুল্লাহ ভাইকে। তারা দুজন আজও বেঁচে আছেন তবে সাংবাদিকতা থেকে অবসরে গেছেন। অধ্যাপক শামসুজ্জামান ভাইকেও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তিনি এখনও সাংবাদিক পেশায় আছেন তবে পেশায় অনেকটা ভাটা পড়েছে। বর্তমানে তিনি ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি। ধন্যবাদ ভৈরবে কর্মরত সকল সহকর্মীদেরকে। আমার লেখায় কারো নাম বাদ পড়লে আমাকে অবগত করবেন এবং লেখাতে কোন ভুলক্রটি হলে আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। বর্তমান নতুন প্রজম্মের সাংবাদিকদের ভৈরবের সাংবাদিকতার স্মৃতিকথা জানাতেই আমার এই লেখাটি সংক্ষিপ্তভাবে লিখলাম। পুরা কথা বা ইতিহাস জানিয়ে ভবিষ্যতে বেঁচে থাকলে আমি আবারও লেখার চেষ্টা করব। সাংবাদিকতায় এসে আমি কি পেলাম সেই ভাবনা আমার নেই, কি দিতে পেরেছি এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ সবাইকে। ভাল থাকুন সবাই।

লেখক: সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..