1. admin@lalsabujerdesh.com : ডেস্ক :
  2. lalsabujerdeshbd@gmail.com : Sohel Ahmed : Sohel Ahmed
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু  কমিশন  কর্তৃক আয়োজিত নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতি শীর্ষক আলোচনা,সভা অনুষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধু অসম্ভব শিশু প্রেমিক ছিলেন: ড.কলিমউল্লাহ বঙ্গবন্ধু বাঙালি চেতনার এক অনন্য প্রতিষ্ঠানের নাম: ড.কলিমউল্লাহ আজ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন নামধারী সাংবাদিক ও ২৪ জন অসাংবাদিক সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা। নিহত সেনা সদস্য নাজিম উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চার বছরের কণ্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে (৫৫) বছরের বৃদ্ধা আটক সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বীর শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেননি বঙ্গবন্ধু : ড.কলিমউল্লাহ খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ১ মার্চ মাস থেকেই কার্যকর

বার্ষিক পরীক্ষা পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে যেতে পারে

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১১ মে, ২০২০
  • ১৯৯ বার

লাল ‌সবুুজ প্রতিবেদক:
করোনা সংক্রমণরোধে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দুটি বিকল্প পরিকল্পনার কথা ভাবছেন নীতিনির্ধারকরা। একটি হলো- করোনার আক্রমণ শেষ হলে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া। সকল ছুটি বাতিল করে নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস শেষ করা। অপরটি হলো- ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী বছরের (২০২১) ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ করা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি)। এনসিটিবির শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞরা প্রথম বিকল্পের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে সিলেবাস কমানোর বিপক্ষে তারা। প্রয়োজনে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিলেবাস শেষ করার মত তাদের।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, প্রতিটি শ্রেণির সিলেবাস ওই শ্রেণির নির্ধারিত দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। সিলেবাস কমানো হলে নির্ধারিত জ্ঞান অর্জন সম্ভব হবে না। এতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। এছাড়া তাড়াহুড়ো করে সিলেবাস শেষ করলে শিক্ষার্থীরা সেটি ধারণ করতে পারবে না, অনেকের পরীক্ষার ফল খারাপ হবে। তাই তারা শিক্ষাবর্ষ দুই মাস বাড়ানোর পক্ষে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি নির্ধারণ করতে কয়েকটি সভা হয়েছে। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন। মূলত শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে দুটি প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু কবে নাগাদ করোনার প্রকোপ শেষ হবে আর কবে স্কুল-কলেজ খুলবে, সেটি আমরা মোটামুটি একটা ধারণা না পেলে সামনে এগোনো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আরও বৈঠক হবে।
তিনি বলেন, যদি আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলে দেয়া হয়, তাহলে এনসিটিবির প্রস্তাব ছিল, চলতি শিক্ষাবর্ষকে আগামী বছরের ফেরুয়ারি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। ফেব্রুয়ারিতেই বার্ষিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা নেয়া। এতে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়ে ও শিখে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হতে পারবে। আর পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ ২০২১ সালের মার্চ থেকে শুরু করা। আগামী শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন ধরনের ছুটি কমিয়ে ১০ মাসে শিক্ষাবর্ষ শেষ করা। তবে বিকল্প প্রস্তাবও এসেছে। সেখানে ২০২০ সালের মধ্যেই সব পরীক্ষা শেষ করার কথা বলা হয়েছে। এতে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা ও ঐচ্ছিক ছুটি কমানোর কথা বলা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে, সেটা মোটামুটিভাবে জানতে পারলে এনসিটিবি চূড়ান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, অনির্ধারিত ছুটি পুষিয়ে নিতে আমরা কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বিষয়টিগুলোতে নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে রমজান ও ঈদের ছুটির পর ১ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে। এরপর কার্যকারী পরিকল্পনার ওপর মতামত নিয়ে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। রোজা ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। গত মঙ্গলবার (৫ মে) জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..