শামীম আহমেদ :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত তাজুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি ৮দিন যাবত হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে প্রাণ হারান ।
তিনি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের মৃত নজত আলীর ছেলে। তার লাশ আজ সোমবার সকালে ভৈরব থানায় আনা হলে পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গত ৩ মে সোমবার বিকেলে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চান্দেরচর গ্রামের বড়বাড়ী ও গর্জি বাড়ীর লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ হয়। বড় বাড়ীর নাজমুল মিয়া ও দুলাল মিয়া এবং গর্জি বাড়ীর সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। এরমধ্যে গর্জি বাড়ীর তাজুল ইসলাম বল্লমের আঘাতে গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয়রা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘ ৮দিন হাসপাতালের পিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার ভোর ৪টায় ঐ হাসপাতালে তার মৃত্যু।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহীন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাটি ৮দিন আগের। আজ সোমবার ভোরে তাজুল ইসলাম ঢাকার হাসপাতালে মারা যান। সকালে লাশ ভৈরব আনা হলে ময়না তদন্ত করতে লাশটি কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর নিহতের ভাই ইজাজুল মিয়া বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।যার মামলা নং-১২তারিখ ১০ মে ২০২০ইং। ওই মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply