করোনায় থেমে নেই, নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন মানবতার তরে….. মাটি ও মানুষের প্রিয়নেতা, ভাটি বাংলার প্রাণপুরুষ, হাওর বাসির আস্থা ও বিশ্বাস,, অত্যন্ত বিনয়ী, আদর্শিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,,
নিরহংকারী, ভোগ বিলাসহীন সহজ সরল জীবনের যাপনের অধিকারী,কিশোরগঞ্জ -৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য,, জননেতা জনাব প্রকৌশলী রেজওয়ন আহমেদ তৌফিক।
বাবা মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মহোদয়ের মতোই হাওরের মাটি-আলো-বাতাসে দিনের পর দিন পরিণত হয়েছেন।
বাবার কাছ থেকেই বুকের মধ্যে হাওরের মানুষ আর প্রকৃতিকে ধারণ করার শিক্ষা নিয়েছেন। কার্যত জনতার এ রাজনীতিক পেয়েছেন ‘ভাটির রত্ন’ খ্যাতি।
করোনা সঙ্কটের শুরু থেকেই বঙ্গভবনের সুরম্য প্রাসাদ ছেড়ে এলাকার অতি দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার কোন ইউনিয়নের মানুষ খাবারের কষ্টে আছেন, খোঁজ খবর নিয়ে তাদের কাছেই পৌঁছে দিচ্ছেন চাল-ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। জীবনের ঝুঁকির কথা না ভেবে হাওরের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় ছুটছেন নিরন্তর।
সরকারি ত্রাণ সামগ্রীতেও চাহিদা না মেটায় নিজের উদ্যোগে তাদের দূয়ারে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন। নিজের নির্বাচনী এলাকার ২৪ টি ইউনিয়নের গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ইতোমধ্যেই প্রায় ৮’শ বস্তা চাল, ৪ টন খেজুর, দেড়শ’ বস্তা ডাল, দেড়শ’ বস্তা আলু ও ৬০০ লিটার সয়াবিন তেল বিতরণ করা হয়েছে।
পর্যাপ্ত পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মাল গান তুলে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে।
মানবিক এই সহায়তার ভেতরই নিজেকে না আটকে হাওরে ধান নিয়ে বিপাকে থাকা কৃষককূলের কাছেও রীতিমতো ‘দেবদূত’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনিই একমাত্র সংসদ সদস্য, যিনি সরকার প্রধানের ঘোষণার আগেই মানবতার টানে হাওরের অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছেন।
হাওরে শ্রমিক সঙ্কটের আশঙ্কায় গত ৭ এপ্রিল মহামান্য পুত্র জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগকে আহ্বান জানান। এরপরেই অভূতপূর্ব সাড়া পড়ে যায়। পরের দিন থেকেই পূর্ণোদ্যমেই শুরু হয় ধান কাটা।
এখনও ছাত্রলীগের এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পহেলা বৈশাখকে ঘিরে তিন উপজেলার ২৪ টি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে তিনি ধান কাটার জন্য ১ হাজার ৭০০ কাঁচি উপহার দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দফা সংসদ সদস্য নিজেই নেতৃত্ব দিয়ে ভাগ্য বিড়ম্বিত কৃষকের ধান কেটে দিয়েছেন। হাওরে মানুষজনের পাশে তার বুক চিতিয়ে থাকার মানসিকতা স্থানীয় কৃষকদের উজ্জীবিত করেছে।
তারা ফিরে পেয়েছেন তাদের হারানো মনোবল। ইতোমধ্যেই ছাত্রলীগের এ কর্মযজ্ঞে হাওরের তিন উপজেলার প্রায় ৯৭ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
Leave a Reply