জামালউদ্দিন স্বপন ( কুমিল্লা নান্গলকোট থেকে )
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের দৌলখাঁড় ইউনিয়নের দেওভান্ডার গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আয়েশা আক্তার (২০) তার স্বামী কর্তৃক গুমের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত স্বামী একই উপজেলার অষ্টগ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। গত রবিবার স্বামী ঈদ কেনাকাটা করার নাম করে আয়েশার পিতার বাড়ী থেকে নেয়ার পর ৭ দিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় একই দিন নিখোঁজের মাতা সীমা আক্তার নাঙ্গলকোট থানায় সাধারণ ডায়রি করেছে । যার নং ৩০৫।
নিখোঁজ আয়েশার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের শেষ দিকে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের অষ্টগ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় দেওভান্ডার গ্রামের আয়েশা আক্তারের। বিবাহের ৩ মাস পর তার স্বামী প্রবাসে চলে যান। স্বামী প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে শ্বশুর শাশুড়িসহ স্বামীর পরিবারের লোক জন সব সময় নানা ভাবে যৌতুকের জন্য তাকে চাপ সৃষ্টি করে। আয়েশার প্রবাসী বাবা মেয়ের সুখের জন্য তাদের অনেক অন্যায় আবদার পূরণ করেন। সর্বশেষ প্রবাস থেকে মোবাইল ফোনে শাশুড়ির কাছে ২ লাখ টাকা দাবী করে জামাই জাহাঙ্গীর। এ টাকা দিতে না পারায় দীর্ঘ দিন যাবৎ আয়েশার উপর নির্যাতন চালায়। পরে প্রবাসে ১ বছর থেকে গত ৩ মাস পূর্বে দেশে এসে আয়েশার ৫ ভরি স্বর্ণের গহণা বন্ধক দেয়ার কথা বলে স্বামী জাহাঙ্গীর নিয়ে যায়। এর পর গত ৮ মে শুক্রবার বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসেন আয়েশা। পরে গত রবিবার সকালে স্বামী ঈদের কেনাকাটা করে দেয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়ার পর ৭ দিন যাবৎ আয়েশা নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে আয়েশার পরিবারের লোকজন স্বামী জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করলে সে আয়েশাকে তার পিতার বাড়ীর সামনে নামিয়ে দিয়ে যায় বলে জানান। আয়েশার কোন খোঁজ না পেয়ে অজানা আশঙ্কায় তার পিতার বাড়ীতে চলছে আহাজারী।
আয়েশার প্রবাসী পিতা আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, না জানি আমার মেয়েটাকে তারে মেরে গুম করে পেলেছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার মেয়ে উদ্ধারে সহযোগীতা কামনা করছি।
নিখোঁজ আয়েশার মাতা সীমা আক্তার বলেন, আমার মেয়েটাকে যৌতুকের জন্য অনেক নির্যাতন করেছে। তার স্বর্ণ গহণা ও মোবাইল ফোন সব নিয়ে গেছে। সবশেষে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে টাকা দিতে না পারায় ঈদের কেনাকাটার কথা বলে আমার মেয়েটিকে আজ ৭ দিন কোথায় রেখেছে আমরা জানিনা। আমি প্রশাসনের কাছে আমার মেয়ের সন্ধান চাই।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় দৌলখাঁড় বাজারে কেনাকাটা শেষ করে তার বাবার বাড়ীর সামনে আমার স্ত্রীকে নামিয়ে দিয়ে আসি, এর পর আমি আর কিছু জানিনা।
সাধারণ ডায়রির তদন্ত কারী কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানার এ এস আই আব্দুল কাদের বলেন, আয়েশাকে খোঁজাখুজি অব্যাহত আছে। এখনো কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি
Leave a Reply