মোহাম্মদ ইকবাল হোসাঈন : করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশের মানুষ স্থভির হয়ে আছে। ইয়া নাফসি- ইয়া নাফসি করছে আতঙ্কিত মানুষরা। কে জানে কে কবে মৃত্যুর দুয়ারে যেতে চলেছে। না জানি আপনালয়ে আর আগের মত মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারবে না। এ যেন এক দুনিয়ার কিয়ামত। যায়নামাজে সিজদায় পড়ে মহান রবের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া কি বা করার আছে? স্তব্দ দুনিয়ার এ যেন এক নতুন ইতিহাস, যা পৃথিবীর আকাশে বিরল। কি ঘটতে চলেছে, কেউই তা জানে না। এমন আতঙ্কিত মহুর্তে মানুষের পাশে দাড়িয়ে দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন সোনাগাজীর চরছান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন।
বিগত প্রায় দুই মাসের ও বেশি সময় ধরে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ গুলো যখন না খেয়ে দিন পার করছেন তখনি নিজের অর্জিত টাকা ব্যায় করে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী। সরকারের দেওয়া উপহার নিয়ে ছুটে চলেছেন অবিরত। পরিবারকে দূরে রেখেএলাকার মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান মিলন।
গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন চরছান্দিয়া ইউনিয়নের ওলামাবাজার সংলগ্ন বিমান বাহিনীর( অব:) কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার জেষ্ঠ পুত্র ইকবাল হোসেন বাবুল। রাতেই মৃত দেহ নিয়ে আসা হয় নিজ গ্রামে। করোনার ভয়ে যখন ইকবালের পরিবারের কেউ লাশ দাফনে আসছেন না তখনি মানবিক এই চেয়ারম্যান মিলন নিজের জীবনের মায়া, পরিবার ও সন্তানদের মায়া ত্যাগ করে কবরে নেমে পড়লেন । দাফন সম্পন্ন করে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন ইকবাল এর হয়ে।
চেয়ারম্যান মিলনের এমন মানবিকতা দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। তার এমন কর্মকান্ড ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে সর্ব মহলে। কথায় আছে মানুষ মরে যায়, রয়ে যায় তার কৃতকর্মে। তেমনি মৃত্যুর পরেও অমর হয়ে থাকবে চেয়ারম্যান মিলন। নামে নয় কর্মই তাকে স্মরণ করবে মানুষ।
Leave a Reply