আবাহাওয়া অধিদপ্তর ঃ
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় “আম্ফান”(থাই “উম্পুন”) গড়ে আরও কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরো দ্রুত শক্তিশালী হয়ে ভয়ন্কর রুপ নিয়ে ক্যাটেগরি ৪(২০৮কিমি/ঘ+) মাত্রার প্রবল শক্তিশালী ঘূর্নিঝড়ে পরিনত হয়েছে এবং ওই একই এলাকায় অবস্থান করছে!
এর কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বাতাসের একটানা(১মিনিট স্থিতি) গড় গতিবেগ ২১০কিমি/ঘন্টা যা দমকা হাওয়া সহ ২৫৫ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এটি বর্তমানে কলকাতা হতে ১০৮০কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে।
এটি বর্তমান অবস্থান থেকে প্রথমে উত্তর ও পরবর্তীতে উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
অনুকূল পরিবেশ থাকায় এটি আগামী ১২-১৮ ঘন্টার মধ্যে ক্যাটেগরি ৫(২৫২কিমি/ঘন্টা+) মাত্রার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এ পরিনত হতে পারে।
তারপর ১৯ মে পর্যন্ত অনূকূল পরিবেশ থাকায় এর শক্তি বজায় রাখতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত হানার আগে সামান্য কিছুটা দূর্বল হতে পারে।
প্রাথমিকভাবে, ঊরিষ্যা থেকে বাংলাদেশের বরিশাল পর্যন্ত সকল উপকূল এই সিস্টেম এর প্রধান ঝুঁকিতে আছে। তবে বেশি সম্ভব এটি পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল ২০-২১ মে তারিখের মধ্যে অতিক্রম করতে পারে।
*এর বিপদজনক বাতাসের ব্যাসার্ধ ৩৫০কিমি+ হওয়ায় ঊরিষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সকল উপকূল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ঘূর্ণিঝড় এর যত নিকটবর্তী হবে তত বেশি হবে।
বাংলাদেশে এ সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকায় দক্ষিনাঞ্চল এর বাসিন্দারা এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তবে ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে এবং মেঘের পরিমাণ বাড়তে পারে। এর পর থেকে
গভীর সাগরে দীর্ঘদিনের সকল সফর বাতিল করা উচিৎ ২২ তারিখ পর্যন্ত। যারা সাগরে আছেন তারা এখনি উপকূলে ফিরে আসুন।
এবং আগে থেকেই সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে কৃষি সম্পদ যত তারাতাড়ি সম্ভব সংরক্ষণ করুন। উপকূলবর্তী মাছ চাষিদের ১৯ তারিখ এর মধ্যে মাছ সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
★সতর্ক বার্তাঃ
বাংলাদেশে আবহাওয়া অধিদপ্তর কতৃক ৭নং স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত চলছে।
Leave a Reply