সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব চলছে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকার ভাড়াশিমলা এলাকার খারহাটে ইছামতি নদীর বাঁধ এবং মথুরেশের চিংড়া বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। ঝড়ে অনেক কাঁচাঘর ভেঙে গেছে, গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বুধবার (২০ মে) রাত ১১টার দিকেও প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁধ ভাঙার ফলে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় এল এস ডি গোডাউন চত্বরে পানি উঠছে। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে।
উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, প্রচুর ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে নদীতে জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে। নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকছে। ঝড় থামার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল বলেন, ইতোমধ্যে ঝড়ের তাণ্ডবে শতাধিক মানুষের ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। টিনের ছাউনির ঘরবাড়ির একটির অস্তিত্ব নেই।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরে ঝড়ের গতিবেগ চলছে ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার। এটি আরও বাড়বে। এখনও এক ঘণ্টা এভাবে চলবে। সর্বোচ্চ ১৮০-২০০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
Leave a Reply