মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, হাওড় অঞ্চল প্রতিনিধি :
বাঙ্গালির ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। মুসলমানদের এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। ছোট-বড়, ধনী-গরীব সবাই ঈদ পালন করে মহা আনন্দে। এবার সে আনন্দটা করতে পারেনি দেশবাসী। মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সে আনন্দটুকু কেড়ে নিয়েছে সকলের। এমই মন্তব্য করে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর বাসীকে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইলহাম গ্রুপের চেয়ারম্যান দানবীর আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া বলেন, ব্যক্তিগত ভাবে আমি চির কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে। ধন্যবাদ জানাই আমার প্রিয় নেতা ভৈরব –কুলিয়ারচরের কৃতিসন্তান কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন ভাইকে। যার জন্য আমি সুযোগ পেয়েছি আজকে আপনাদের পাশে থাকার, আপনাদের পাশে থেকে সেবা করার। জানিনা কুলিয়ারচরের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি। তবে আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টায় কোন কমতি রাখি নাই।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৩৮২ টি পরিবারের নিকট খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ১হাজার ৬৩৪ জন প্রবাসী ও শিক্ষার্থীদের পরিবারের নিকটও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। এছাড়াও নগদ অর্থ সহায়তা করেছেন ৪ হাজার ৭৪১ জন মানুষের মধ্যে। শুরু থেকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ কাজ স্বচ্ছ ও সুন্দর রাখার জন্য একটি নিরপেক্ষ ও দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক টিম দিয়ে কাজটা পরিচালনা করেছেন তিনি । প্রতিদিন প্রায় ১ শত ছেলে ও মেয়ে দুই মাস ধরে কাজ করেছে। তিনি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানান সেই সব ছোট ভাই ও বোনদের যারা মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন জীবনকে ঝুঁকির মাঝে রেখেও। তিনি সেই সকল তরুণ এবং তরুণীদের কাছে আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতেও যেন এই ভাবেই কুলিয়ারচরের মানুষের পাশে থাকে তারা।
তিনি আরো বলেন, এই সহযোগিতার পরিমাণ কুলিয়ারচরের মানুষের তুলনায় খুবই সামান্য। যদি সবাই মিলে যে যার জায়গা থেকে সম্মিলিতভাবে কুলিয়ারচরবাসীর পাশে দাঁড়াতে পারতো তাহলে এটা একটা অনেক বড় উদ্যোগ হতো এবং মানুষের আরো অনেক কল্যাণ হতো। তিনি কুলিয়ারচরবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আসুন আমরা ভবিষ্যতে কুলিয়ারচরের প্রতিটা মানুষ দল-মত, ভেদাভেদ, হিংসা বিদ্বেষ ভুলে একে অপরের হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। তাহলেই কুলিয়ারচরবাসী সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে।
তিনি দাবী করেন, একটা ভালো চিন্তাই পারে একটা ভালো সমাজ গঠন করতে। একটা খারাপ চিন্তা একটা সমাজকে নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তাই সকলে পজিটিভ চিন্তা করে হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে একে অপরের জন্য কাজ করুন।
তিনি সকলের নিকট দোয়া ও কুলিয়ারচরবাসীর মঙ্গল কামনা করেন। তিনিও কুলিয়ারচরের প্রতিটি মানুষের জন্য দোয়া করেন সবাই যেন সুস্থ থাকে, ভালো থাকে, নিরাপদে থাকে।
অবশেষে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মনে রাখবেন করোনা থেকে বাঁচতে হলে ঘরে থাকার কোন বিকল্প নাই। অহেতুক যেন বাড়ির বাইরে না যাই, বাঁচতে হলে এটাকে মানতেই হবে। করোনা এতো সহজে চলে যাচ্ছে না তাই আপনার সচেতনতাই পারে আপনাকে বাঁচাতে, আপনার পরিবারকে বাঁচাতে। বাঁচতে হবে নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, দেশের জন্য, দশের জন্য। একটু সচেতনতাই পারে করোনা মুক্ত জীবন পরিচালিত করতে। ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন।
Leave a Reply