এম আর ওয়াসিম, ভৈরব(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
লুবনা ফারজানা ও তাঁর স্বামী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব
মোহাম্মদ শামীম কিবরিয়া’র’ সৌজন্যে নিজস্ব উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সেবী সংগঠন “আহার ঘর” এর সহযোগিতায় পৌর এলাকার ১২ টি ওয়ার্ডের হত দরিদ্র ও গরীব অসহায়দের মাঝে ১ হাজার প্যাকেট খারাব বিতরণ করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে শহীদ আইভি রহমান ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন বেদে পল্লীতে ‘আহার ঘর’ সংগঠনের সদস্যদের সহযোগিতায় খাবার বিতরণ শুরু করা হয়।
আজ ঈদ-উল- ফিতর। কিন্তু নেই কোন আনন্দের ইমেজ। করোনা মহামারীতে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এতে করে অনেকের ঘরে ভাল কিছু রান্না করা হয়নি। তাদের সাথের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্যই ছিল আজকের এই আয়োজন। যাদের ঘরে ভাল কিছু রান্না করতে পারেনি সেই সব অসহায় মানুষের মাঝে এই খাবার বিতরণ করা হয়। সংগঠনের সদস্যরা নিজ উদ্যোগে এসব খাবার ১২ টি ওয়ার্ডে পৌছে দেয়। তারা জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো একজন ব্যক্তির সৌজন্যে রাতের জন্য আরো ৩ শত প্যাকেট বিতরণ করা হবে।
এসময় সংগঠনের সদস্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সুমাইয়া হামিদ দিয়া, সিতরাতুল রসিদ পিয়াল, হৃদয় মিয়া, রবিন খান, আরাফাত ভূইয়া, শাহারিয়ার, রিফাত, মানিক সহ অনেকে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে উক্ত সংগঠনের ডিস্ট্রিবিউশন টিম রয়েছে। টিমের সদস্যগণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এগুলো পৌছে দিচ্ছে বলে জানায় তারা।
বিতরণের সময় লুবনা ফারজানা বলেন যদিও আমার বাড়ী খুলনা। করোনার কারনে ও চাকরির সুবাদে আমাকে ভৈরবের মানুষের সাথেই ঈদ করতে হচ্ছে। আজকের খাবার বিতরণ ভৈরবের মানুষের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। এসময় তিনি আরো বলেন করোনা মহামারীতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলকে ঘরে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে আহবান করেন তিনি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শামীম কিবরিয়া বলেন, চাকরীর সুবাদে অনেক সময়ই নিজ বাড়িতে ঈদ করা হয় না। আজ ভৈরবে ঈদ পালন করছি। আমার নিকট মনে হলো আজকের এই ঈদের করোনা মহামারীতে অনেক মানুষই রয়েছেন যারা ভাল কিছু হয়ত রান্না করতে পারেনি। সেজন্যই আমাদের আজকের এই ক্ষুদ্র চেষ্টা। আমি আহবান করব আপনারা যারা সমাজের বিত্তবান মানুষ রয়েছেন, যার যার অবস্থান থেকে আপনারাও সমাজের গরীব, অসহায় ও হত দরিদ্রের পাশে দাঁড়াবেন।
Leave a Reply