এম আর ওয়াসিম, ভৈরব(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের পশ্চিম নয়া হাটি গ্রামে চাচা কর্তৃত দুই ভাতিজাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায়। মৃত চাঁন মিয়ার পুত্র মোঃ কামাল মিয়া ও শুকুর মিয়ার বিরুদ্ধে মোঃ লাল মিয়ার পুত্র মোক্তার হোসেন ও জিয়ার হোসেন কে অন্যায় মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। লাল মিয়া নিরীহ প্রকৃতির মানুষ বলে দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবারের উপর অন্যায় জুলুম করছে বলে জানা। কিন্তু কামাল মিয়া ও শুকুর মিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অভিযোগে জানা যায় যায় যে কামাল ও শুকুর মিয়া, লাল মিয়ার বিমাতা ভাই। বহু দিন ধরেই তাদের মাঝে জমি সংক্রান্ত জের ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। লাল মিয়ার অভিযোগ প্রায় ৯ বছর আগে তারা যৌথ ভাবে একই সাথে একটি জমি ক্রয় বসত ভিটা করেছে। কিন্ত কয়েক বছর পাড় না হতেই কামাল মিয়া ও শুকুর মিয়া দুই ভাই মিলে আমার জমি আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আমাদের উপর অন্যায়, অবিচার ও অত্যাচার করে আসছে। তাদের অত্যাচারে আমরা পাশের গ্রাম ঝগড়ার চর পশ্চিম পাড়া গিয়ে বসত ভিটা করেছি। ঘর তৈরীর জন্য পুরান ভিটা থেকে আমার ছেলে মোক্তার হোসেন ও জিয়ার হোসেন কে বাঁশ জাতীয় সারঞ্জাম আনতে পাঠালে কামাল মিয়া ও শুকুর মিয়া তাদের কে সরঞ্জামাদি আনতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হলে তারা আমার দুই ছেলে কে রড দিয়ে আঘাত করে মোক্তার হোসেনের দুই হাতের আঙ্গুল ও কবজি ভেঙ্গে ফেলে এবং রামদা দিয়ে জিয়ার হোসেনের মাথায় মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। মোক্তার হোসেন কে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা করানো হয় এবং জিয়ার হোসেন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এভাবে অন্যায় ভাবে মারধর করায় দেশ, দশ ও আইনের নিকট হামলাকারীদের বিচার প্রার্থনা করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ মে শনিবার দুপুর বেলা।
অপর দিকে কামাল মিয়া ও শুকুর মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেন ঐদিন এমন ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তারা আমাদের কে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এধরনের অভিযোগ করেছে। তারা প্রায় একমাস আগে সিদ্ধিরচর বাজারে গুচ্ছ গ্রামে নিরিহ ও অসহায় মানুষদের উপর হামলা করলে, সেখানে তারা আঘাত প্রাপ্ত হয়। তাছাড়া জিয়ার ঢাকা মেডিকেল ভর্তি তথ্যটি ভুল। গতকাল মঙ্গলবার ঈদের জামাতে সে সবার সাথে নামাজ আদায় করেছে। মোক্তার হোসেন পূর্বের ঘটনায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। মূলত আমাদের কে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য তারা এই ধরনের অভিযোগ করছে।
এবিষয়ে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক মিয়া বলেন ঘটনার পরপরই আঘাত প্রাপ্তদের কে নিয়ে সিএনজি দিয়ে আমার নিকট নিয়ে আসে তাদের বাবা লাল মিয়া। আহতদের কে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেয়। করোনা মহামারীতে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সমাজের দশজন নিয়ে শালিসের মাধ্যমে বিচার করা হবে বলেও আশ্বস্ত করি তাদেরকে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃ শাহিন জানান, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply