সংবাদদাতা : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সাংবাদিক আবুল হাসনাত। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক এক ঘটিকায় তিনি তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। তাতে লিখেছিলেন “আমার অবস্থা ভালো না। আমাকে সবাই মাফ করে দিবেন। আমার সন্তানদের একটু দেখবেন। আমিন”।
এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে তার স্ত্রী-সন্তান তাকে দ্রুত নিয়ে যান চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ। এক শোক বার্তায় বিএমএসএফ’র সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন। মরহুম সাংবাদিক হাসনাতের পরিবারের পাশে সরকারের সহযোগিতা কামনা করে সকল সাংবাদিকের করোনা ভাইরাস টেষ্টের আওতায় আনারও দাবি করা হয়।
এদিকে করোনায় সাংবাদিকের মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে অনলাইনে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করেছে বিএমএসএফ। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: জাহিদুল বারী সাংবাদিকদের এ সেবা প্রদান করছেন। আপনার প্রয়োজনে ০১৮২৭০৬৪৪৮৯ নাম্বারে কল করে বিনামূল্যে সাংবাদিক ও তার পরিবারের সদস্যরা এ সেবা গ্রহন করতে পারবেন। ২৯ মে থেকে বিএমএসএফ’র এ সেবা চালু করা হয়েছে।
আবুল হাসনাত হাসনাত ফরিদগঞ্জে ‘আওয়ামী গুণিজন স্মৃতি সংসদ’ নামে একটি সংগঠন করেন এবং আমৃত্যু সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ‘প্রেসক্লাব ফরিদগঞ্জ’ এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
চাঁদপুর জেলা বিএমএ’র সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার হারুন সাগর জানিয়েছেন “হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সদর হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসা শুরু করা হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। দুইদিন ধরে তার শরীরে জ্বর ছিল। করোনার লক্ষ্মণ থাকায় স্যাম্পল পরীক্ষা করা হবে।
Leave a Reply