স্টাফ রিপোর্টারঃ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নে ৩০ মে ২০২৯ রোজ শনিবার সকাল ১১টায় বিডুই গ্রামে সরকারী রাস্তা দিয়ে চলাচলকে কেন্দ্র করে দুই গুষ্টির সংঘর্ষে এক মহিলা সহ অন্তত ৬ জন আহত হওযার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে সরাইল পাড়া গুষ্টি ও সোহাগপুর গুষ্টির মধ্যে।এ নিয়ে তাদের মাঝে আরো অনেক আগে থেকেই কথা কাটাকাটিও,হালকা ঝগড়া ফ্যাসাদ চলে অাসছিলো।
সোহাগপুর গুষ্টি বাড়ির সীমানা থেকে রেকর্ডের রাস্তাটি ১৫ ফুট প্রস্থ ও ৬০/৭০ হাত দীর্ঘ হয়ে গ্রামের মুল রাস্তায় মিলিত হয়েছে।
ওই রাস্তার ডান পাশের ফসলি জমি বাড়ির জন্য তৈরি করছে মো রুপা মিয়া।তিনি সরাইল গুষ্টির লোক।রাস্তা সংলগ্ন তার জমির পরিমান ২৪/২৫ হাত।
অর্থাৎ রেকর্ডের ১৫ ফুট পাশ রাস্তাটি তার ওয়ালে তিনি তিন ফুট দখল করায় রেকর্ডের রাস্তটি এগার ফুট হয়ে যায়।সোহাগ পাড়া গুষ্টি এবিষয়ে প্রতিবাদ করলে তারা উস্কানিমূলক কথা বলে। আজকে এ বিষয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে রুপা মিয়া(৭৫) ও তার তিন ছেলে এবং গুষ্টির লোকজন মিলে সোহাগপুর গুষ্টিকে ঝগড়া করতে মাটে নামার জন্য উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে।
উভয় পক্ষ যখন মুখোমুখি সংঘর্ষে রুপ নেয় তখন
সোহাগপুর গুষ্টির কিছু মুরব্বি ছুটে এসে সালিশির মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলে জানায়।তারা উভয় পক্ষের ছেলেদের বুঝানোর চেষ্টা করে।কিন্তু রুপা মিয়ার ছেলে ইসহাক(৩৫) হঠাৎ আক্রমণ করে বসে ঐ গুষ্টির মো সাদ্দাম (২৮)নামের এক যুবকের উপর।তারপরই শুরু হয়ে যায় জগাখিচুরি সংঘর্ষ।সোহাগপুর গুষ্টির লোকজন জমির কাজে বাহিরে থাকায় তাদের সংখ্যা কম ছিলো।গোপন সূত্রে জানা যায়,সরাইল গুষ্টির ঝগড়া পরিকল্পনা ছিলো গতরাতের পরিকল্পতি।সংঘর্ষে সরাইল গুষ্টির হয়ে নেতৃত্ব দেন মোঃখায়হুম মেম্বার।তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও সংঘর্ষে অগ্রভাগে থেকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা নিজেই দুই-চার জনকে করেছেন করেছেন।সোহাগপুর গুষ্টি প্রতিহত করার চেষ্টা করেও পেরে উঠতে পারেনি।সংঘর্ষে আহত হয় মোঃ সাদ্দাম,শাহআলম, ফরিদ মিয়া,মোজাম্মেল মিয়া, শাজাহান মিয়া,রাব্বি মিয়া।এছাড়া ও এক মহিলা মোছাঃবিউটি আক্তারের(২৯) হাত ভেঙ্গে যায় এবং তার ছেলে গুরুতর আঘাত পাই।
এই আহতদের মধ্যে সবাই সোহাগপুর গুষ্টির লোক।সরাইল পাড়া গুষ্টির কারো গুরুতর ছুট লাগেনি।এই বিষয়টি ও পূর্ব পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেই।দুই গুষ্টির একটায় মসজিদ।আজ সরাইল গুষ্টি সোহাগপুর গুষ্টিকে মসজিদ বাধা প্রধান করে।
সরজমিনে জানা যায়,আহতরা নাসিরনগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।তাদের চিকিৎসা চলছে।
বিভিন্ন সূত্র মতে জানা যায় যে, সোহাগপুর গুষ্টির দাবীটি বৈধতা রয়েছে কারন ১৫ ফুট পাস রেকর্ডের রাস্তাটি সবার।তারা এ জমির কোন অংশ কাউকে দখলে দেওয়ার বিপক্ষে।আর সরাইল গুষ্টি সত্য জেনেও গুষ্টিগত কারনে রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।এমনটায় গুষ্টি নিরপেক্ষ মানুষের মতামত।
প্রশাসনের ব্যবস্তা প্রসংশনীয়,সংঘর্ষে নেতৃত্ব দানকারী মেম্বারকে থানাতে তলফ করা হলে তিনি না গিয়ে গা-ঢাকা দেন।পরে পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়।এবং পুলিশ থানাতে দুই গুষ্টির সকলকে সমাধানের নিমিত্তে আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়।
পরবর্তীতে হতাহতের এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে সরাইল গুষ্টি কে কঠোর আইনি ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।সোহাগপুর গুষ্টিকে এই ঘটনার প্রতিশোধ স্পিহা ত্যাগ করার কথা বলেন পুলিশ কর্মকর্তা।
সোহাগপুর গুষ্টির কিছু মুরব্বি ও প্রবাসী ফেরত মামুন বলে, আমরা এমন মারামারি চাইনা। রেকর্ডের রাস্তায় সবার চলার অধিকার আছে কিন্তু এই জমির তিল পরিমার অংশ দখল করার অধিকার কারো নাই।
এখন কিছু দিন গেলেই বুঝা যাবে ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়। এমন ভাবে আগেও কয়েক বার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে।কিন্তু কয়েক মাস পরেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
তবে এখন বিষয়টি প্রশাসনিক ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
Leave a Reply