সোনাগাজী প্রতিনিধি :-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন – সোনাগাজী বাজারের ডিস ব্যবসায়ী সৈয়দ সোহরাব হোসেন কপিল।
কপিল জানান- গত ২৩ মে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুইদিন আগে আমাকে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ একটি অপহরণ মামলায় গ্রেফতার করে।
পরদিন আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
আমি একজন ক্যাবল নেটওয়ার্ক (ডিস) ব্যবসায়ী আমার কর্মচারী আঃ করিম রুবেল আমার দোকানের বিল কালকশনের দ্বায়িত্বে ছিল। ভিকটিম নাছিমা আক্তার রুমি ও আব্দুল করিম রুবেল সম্পর্কে দুইজন তালতো ভাই তালতো বোন। বিল কালেকশনের সুবাদে আসা যাওয়ার মাঝে দুইজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১২/০১/২০ইং তারা ভালবেসে পালিয়ে বিয়ে করে।
পরে নাসিমার মা ও তার মামা ২৩/০১/২০ ইং তারিখে নাছিমার শশুরকে দিয়ে নারী শিশু আদালতে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে এবং দারবক্স সারেং বাড়ির মিষ্টার ও আমার ব্যবসায়িক কিছু শক্রু মেয়ের মামার সাথে যোগাযোগ করে আমাকে হয়রানি মূলকভাবে উক্ত মামলায় আসামী করে। পরবর্তীতে আমি বাদীকে আমার ব্যাপারে বলিলে তিনি আমাকে চিনেননা এবং আমাকে তিনি আসামী করেননি বলে জানায়। তার কয়দিন পর বাদী জানতে পারে মেয়ে নিজের ইচ্ছায় তার ছেলেকে ডিভোর্স দিয়ে তার প্রেমিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এর পর তিনি আদালতে গিয়ে মামলা চালাবেনা বলে জর্জ সাহেবের কাছে এফিডেফিড দেয়।
কিন্তু থানায় আদালত তদন্তের আদেশ দেয়ায় আমাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। নয় দিন কারাবরন করার পর গত ৩১/০৫ বাদী আবার আদালতে এফিডেফিড দিলে আমি জামিনে মুক্ত হই।
অথচ ঐ মামলার ১ম, ২য়, ৩য় নম্বর আসামী বাদ দিয়ে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করলে বাদি বিজ্ঞ আদালতের এভিডেভিট দেয়ার কথা বলার পরেও মামলার তদন্ত অফিসারের কাছে আমি নির্দোষের জবানবন্দি দিই। এত কিছুর পরও আামাকে কেন চালান করা হয় সেটাই রহস্য।
তবে আমার ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মাইন উদ্দিন ডিলার ও আবু সুফিয়ান এবং টাউট বাটপার খ্যাত কাওসার যে বিষয়টির অগ্রনী ভূমিকায় ছিল সেটা এখন দিনের আলোর মত পরিস্কার।
মাইন উদ্দিন ডিলার মতিগঞ্জের তার এক চাচাতো শালাকে দিয়ে ২/৩শত টাকার বিনিময়ে আমাকে শীর্ষ সন্ত্রাসী, তিন/চার বিয়ে করেছি ইত্যাদি লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার করে। এতে আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হই।
আমি এই ধরণের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃত ঘটনা জেনে সঠিক সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানাই। নচেৎ সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার দায়ে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
Leave a Reply