নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার কাঠালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মোল্লা ও ইউপি সদস্য বীনা আক্তারের বিরুদ্ধে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুলভ মূল্যে ভি জি ডি কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানাযায়, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় হত দরিদ্রদের নামে সুলভ মূল্যে চাউল বিক্রয়ের কার্ডের তালিকা প্রস্তুত, কার্ড ইস্যু, বিতরণে এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের বিধবাদের নামে ভিজিডি কার্ডের তালিকা প্রস্তুত, কার্ড ইস্যু, বিতরণে অনিয়ম রয়েছে। তারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিধবাদের নামে ভিডিজি কার্ডের তালিকা প্রস্তুতে ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ব্যবহার করে ভূয়া নামের কার্ড ইস্যু করে কার্ডধারীকে কার্ড না দিয়ে নিজ হাতে রেখে কার্ডের চাউল আত্নসাৎ করে। একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তিদের নামে কার্ড প্রদান করে, যার ফলে প্রকৃত উপকারভোগীরা সরকারের উপকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বচ্ছল ব্যক্তিদের হত দরিদ্রদের নামে ভিডিজি কার্ডে নাম লিখিয়ে, অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও একই ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড ইস্যু করে তাদের নামের চাউল আত্নসাৎ করছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আরো নানা অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যপারে ইউপি সদস্য বীনা আক্তার বলেন, পনির রিপোর্টটা জমা দেয়ার সাথে সাথে ইউএনও মেডাম সমাজ সেবা অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন। আবার পরশুদিন এমপি সাহেবের মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে বলছে আমরা সততা পাইছি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি আরো বলেন, আমার এখানে ১২৮ টি কার্ড। এর মধ্যে শুধু একটি কার্ড এখানকার ভোটার ছাড়া একজন মহিলাকে দেয়া হয়েছে। মহিলার বাচ্চা প্রতিবন্ধি। পরে ওনার মামীকে দিয়ে, মামীর কার্ডের পরিবর্তে ওনার নামে কার্ড নিয়েছে। তো এখানে তো কোন অনিয়মের হওয়ার কথাইনা।
এ ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মোল্লা বলেন, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছেন। এই অভিযোগটি সম্পূর্ণই মিথ্যা।
Leave a Reply