মোঃ অাব্দুল হান্নান,বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের অাতংক বিরাজ করছে গোটা বিশ্বজুড়েই। আক্রান্তদের পাশে ঘেষতে বা যেতে চান না নিজের পরিবারের সদস্যরাই। সবাই এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করেন করোনা অাক্রান্তদের। অথচ এমনি সময়ে করোনায় আক্রান্ত ৭ পুলিশ সদস্যকে বিনা ভাড়ায় নিজের বাড়িতে রাখার উদ্যোগ নিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র মারজান ইসলাম ভুইয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরের ওই যুবকের এমনি মহতি উদ্যোগে পুলিশ বিভাগ কৃতজ্ঞ।
নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের থানা রোডের মৃত নজরুল ইসলাম ভুইয়ার পুত্র মারজান ইসলাম ভূইয়া করোনা আক্রান্ত ৭ পুলিশ সদস্যের থাকার জন্য নিজের বাসার আটটি কক্ষ বিনা ভাড়ায় ছেড়ে দিয়ে একরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
ঢাকার ‘ইস্ট ওয়েস্ট’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক পাস করা মারজান বর্তমানে করোনার কারণে এলাকায় অবস্থান করছেন।
নাসিরনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করোনা সঙ্কটকালীন সময়ে এখন পর্যন্ত নাসিরনগরে ৭ জন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে করোনায় আক্রান্তদের থাকা নিরাপদ না হওয়ায় বাইরে বাসা খোঁজা শুরু করতে থাকেন নাসিরনগর থানার ওসি মোঃ সাজেদুর রহমান। পরে উপজেলা সদরের থানা রোড এলাকায় মারজানের সাথে যোগাযোগ করেন। মারজান সঙ্গে সঙ্গেই বাসা দিতে রাজি হয় এবং তাদের জন্য বাসাটি ছেড়ে দেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বাসা ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মারজান পুলিশকে জানান, ‘দেশের এই ক্রান্তিকালে করোনায় আক্রান্তদের সেবায় বাসা দিতে পেরেছি, এতেই আমি খুশি। এজন্য কোনো ভাড়া দিতে হবেনা।’ মারজান ভুইয়ার চারতলা ভবনের তৃতীয় তলার আটটি কক্ষে ৪ জুন থেকেই করোনায় আক্রান্ত নাসিরনগর থানার পুলিশ সদস্যরা আইসোলেশনে রয়েছেন।
অপরদিকে প্রচন্ড গরমে পুলিশের একটু প্রশান্তির ব্যবস্থা করেন ঢাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও রুমা গার্মেন্টেসের মালিক মোঃ মোখলেছুর রহমান ভূইয়া।তিনি পুলিশের জন্য ওই বাসায় ২ টি ফ্যান, ক্যাটলি ও চার্জারের ব্যবস্থা করে দেন।
নাসিরনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কবির হোসেন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মারজান তাঁর চারতলা ভবনের তিন তলার ৮টি কক্ষ আমাদের করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের বিনা ভাড়ায় থাকতে দিয়েছেন। তার কাছে পুলিশ বিভাগ কৃতজ্ঞ।
Leave a Reply