.সংবাদদাতাঃ.. অন্যের নৌকা ভাড়া নিয়ে ভাড়ায় চালায় কাইয়ুম মাঝি। গত ০৬/০৬/২০২০ ইং তারিখ কৃষ্ণপুর হতে ইয়ারাবাজ বাজার, শাল্লার ৫০০/- টাকার জায়গায় ২০০০/- টাকা ভাড়া দিয়ে নিয়ে যায় । কাইয়ুম তার বড় ভাই মোবারককে মোবাইল ফোনে জানায় তার বাড়ি ফিরতে দেরি হবে। কাইয়ুমের বড় ভাই মোবারক রাত বারো টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনে পায় না এবং কাইয়ুম নিখোঁজ হয়। তখন কাইয়ুমের পরিবার থানায় না জানিয়েই কাইয়ুমকে খোঁজাখুঁজি করে, খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ১০/০৬/২০২০ইং তারিখ বেলা ০২ টা ১৫ মিনিটে অফিসার ইনচার্জ খালিয়াজুরী জনাব, এটিএম মাহমুদুল হক এর মোবাইল ফোনে জানায়, আদাউড়া সাকিন্থ বাইল্লার হাওরে একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে অতঃপর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সনাক্ত করে যে, এই মৃত ব্যক্তিই কাইয়ুম এবং সুরৎহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর আধুনিক হাসপাতাল প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় ১১/০৬/২০২০ ইং তারিখ কাইয়ুমের ভাই মোবারক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা রুজু হয়। পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুন্সী মহোদয়ের নির্দেশক্রমে এবং তাহার দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জনাব, মোঃ ফখরুজ্জামান জুয়েল এবং অফিসার ইনচার্জ খালিয়াজুরী বিভিন্ন ধরনের কৌশল ও প্রযুক্তিগত কৌশল অবলম্বন করে যে ব্যাক্তি নৌকাটি ভাড়া নিয়েছিল তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নিজের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত সকলের তথ্যসহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। উক্ত তথ্যমতে আরও চারজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামী পাঁচ জনের একটি অপকর্ম ঢাকার জন্য/গোপন করার জন্য সহজ সরল নৌকার মাঝি কাইয়ুম কে নৃশংসভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে মৃত্যু নিশ্চিত এর জন্য পানিতে ফেলে দেয়।
কৃতজ্ঞতায়,
মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব, মোঃ আকবর আলী মুন্সী মহোদয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) জনাব, ফখরুজ্জামান জুয়েল, ওসি ডিবি জনাব শাহানুরে আলম, মামলার আইও এসআই কামরুজ্জামান, এ এস আই হরিপদ চন্দ্র পাল সহ খালিয়াজুরী থানার অন্য সকল অফিসার ও ফোর্স ( সহযোগীতায়)।
Leave a Reply