মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালীঃ নোয়াখালী সুবর্ণচরে ডেলিভারি দেয়ার জন্য নেয়ার পথে ট্রাক ড্রাইভারকে ভয় দেখিয়ে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ ৩০০ হাঁস ছিনাতাই হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাফর নামের এক অসহায় হাঁস খামারি।
ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ৭ নং পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের আক্তার মিয়ার হাট বাজারে।
ভুক্তভোগি ৭ নং পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের ছায়েদল হকের পুত্র মোঃ জাফর(২৩) অভিযোগ করে বলেন, ১৮ জুন ভোর ৬ টায় স্থানীয় রেনু বাজারে পাশে তার বাড়ী থেকে ট্রাক যোগে ৩০০ হাঁস একটি চালান সন্দ্বীপ নেয়ার উদ্যেশ্যে বাড়ী থেকে সুবর্ণচর উপজেলার বোয়ালখালী ঘাটে পৌঁছালে চরমজিদ গ্রামের মৃত সফি সর্দ্দারের পুত্র বেলাল হোসেন ট্রাকটি আটক করে জাফরে কাছে পাওনা টাকা দাবী করে জাফরের কাছে থাকা নগদ ত্রিশ হাজার টাকা দিতে চাইলে বেলাল হোসেন তার পাওনা পুরো ৫৫ হাজার টাকার দাবীতে ট্রাক আটক করে রাখে। পরে বেলাল আক্তার মিয়ার হাট ইসলামি ব্যাংক থেকে টাকা দেয়ার আস্বাস দিলে বেলাল হাঁস সহ ট্রাকটি আক্তার মিয়ার হাট নিয়ে আসে।
বেলাল হোসেন ইসলামি ব্যাংকে প্রবেশ করা মাত্রই পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বেলাল হোসেন ও অজ্ঞাত ৪/৫জন ট্রাকের ড্রাইভারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাঁস সহ ট্রাকটি রেনু বাজার নিয়ে এসে হাঁস গুলো নামিয়ে ট্রাক চালাক কচিকে চলে যেতে বাধ্য করে।
জাফর ব্যাংক থেকে বের হয়ে ট্রাকটি দেখতে না পেয়ে অভিযুক্ত বেলাল এবং ট্রাক ড্রাইভারকে ফোন করলে তা বন্ধ পান।
পরে জাফরের রেনু বাজারে গিয়ে দেখুন তার হাঁস গুলো বেলাল হোসেন একটি স্কুলের নিচে আটক করে রেখেছেন এর মধ্যে ৫০ টি হাঁস মারা যায়।
বেলাল তার টাকা পরিষদ না করলে হাঁস গুলো দেবেনা মর্মে হুমকি পদর্শন করে।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমি জাফরকে ৫৫ টাকা দিয়েছি টাকা পরিষদ না করায় হাঁস গুলো আটক করি, গাড়িতে কোন টাকা আমি পাইনি, টাকা গাড়ীতে রেখে থাকলে ড্রাইভার জানে। তিনি আরো বলেন, কয়েকটি হাঁস মারা গেছে বাকি হাঁস গুলো আমার কাছে আছে, তবে হাঁসগুলো আটক করা আমার ঠিক হয়নি, সে চাইলে হাঁস গুলো নিয়ে যেতে পারে।
গাড়ি চালক কচি বলেন, আক্তার মিয়ার হাট থেকে বেলাল হোসেন ও তার লোকজন আমাকে কিডন্যাপ করে রেনু বাজার নিয়ে আমার মোবাইল চিনিয়ে ন্যায় এবং গাড়ীতে রাখা জাফরের মালামাল বেলাল হোসেন বুঝে নিয়েছেন, টাকার বিষয়ে আমি জানিনা।
ক্ষতিগ্রস্ত জাফর একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। ঘটনায় জাফরের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় বলেও দাবী করেন।
চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply