রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর সংরক্ষণ কাজে নানা অনিয়ম দূর্নীতি, জিও ব্যাগে বালুর পরিবর্তে মাটি ভরাট।
-
আপডেট টাইম :
রবিবার, ২১ জুন, ২০২০
-
৮৪
বার
মাসুদ রানা, নিজেস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলাধীন বন্দবেড় ইউনিয়নের ঘুঘুমারী এলাকা হতে ফুলুয়ারচর নৌকা ঘাট পযর্ন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর(পূর্বপাড়) স্থায়ী নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ ৯টি প্যাকেজে মধ্যে ৫টি চলমান ৪টি প্রক্রিয়াধীন আছে। গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাগুয়ারচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জিও ব্যগে বালুর পরির্বতে কাদা, দোআঁশমাটি দিয়ে ভরাট করার সময় এলাকাবাসী বাঁধা দেয়। এক পযার্য়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদারের লোকজনরে মধ্যে কথা কাটা কাটি হয়। পরে চাপের মুখে জিও ব্যাগ ভরার কাজ বন্ধ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রাম। অফিস সুত্রে জানা যায়,প্যাকেজ নং কুড়ি/এডিপি/রৌমারী/পি-১৫, কাজের চুক্তিমূল্য ৩০,৮২,৯৭,২০৫,৭৪১টাকা ব্যয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাজ মঞ্জিল ব্রহ্মপুত্র নদের ১৪.৫০০ হতে ১৫.০০০পযর্ন্ত ৫০০০.০০ মিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে স্থায়ী নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ হবে। জিও ব্যাগ ভরাট কাজে নিয়োজিত শ্রমিক জহুরুল হক, ছাইদুর, হাবিল, বাছের, রাশেদুল বলেন, আমরা শ্রমিকের কাজ করি, আমরা ঠিকাদারের লোক মানান ও দুলু কে বলেছি, বালু নাই তারা আমাগো বলেছে তোমারা যা আছে মাটি দিয়েই বস্তা ভরাট করো, তোমাদের কাজ বস্তা ভরাট করা, আমরা ৮৫জন শ্রমিক কাদামাটি মিশাল বালু দিয়া ১২শত বস্তা ভরাট করছি, এলাকাবাসী আমাগে কাজে বাঁধা দিছে, আমরা কাজ বন্ধ করছি, বালু আনলে কাজ করবো। বাগুয়ারচর গ্রামের হেলাল, রফিক, রুবেল বলেন, এই ঠিকাদারে সাইডে এর আগেও ৪০হাজার জিও ব্যাগ চিকন বালি, কাদামাটি মিশ্র মাটি ভরাট করে নদীতে ফেলছে, এখন এলাকাবাসী বাঁধার কারণে কাজ বন্ধ করছে। বালু সরবারহকারী আব্দুল মান্নান বলেন, আমি বালু দেই আর কাদা মাটি দেই ঠিকাদার বুঝবে আমি বুঝবো, অফিসের সাথে যোগাযোগ করেই এই বালু উত্তোল করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডে ওয়ার্ক সহকারী মাইদুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারের ম্যানেজার দুলু ও মান্নান কে আমি বার বার বলেছি , কাদামাটি মিশ্র বালু চলবেনা, জিও ব্যাগ ভরাট করা নিষেধ করা হয়েছে, এই সাইডের এসও চঞ্চল স্যার এসে বালু বাতিল করছে, তারা কোন কথা না শুনেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রামের উপ-সহকারী চঞ্চল শর্মা বলেন, আমি গতদিন ঐ সাইডে গিয়ে চিকন বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভরাট করা বন্ধ করে দিয়েছি, তারা চিকন বালু উত্তোলন করছে, তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি এই বালু দিয়ে কাজ চলবেনা। ঠিকাদার বিপ্লব চন্দ্র ব্যানজির বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে বালু পাওয়া যায় না, যে সমস্ত বস্তা মাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে ভরাট করছে, তা আনলোড করে মোটা বালু দিয়ে বস্তা ভরাট করা হবে। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি কাজে যাতে আর কোন ভুল ন্ াহয়। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি আপাদত কাজ বন্ধ থাকবে। এসও সাইডে গিয়ে বালু দেখে ভরাট জিও ব্যাগ আনলোড করবে।
নিউজটি শেয়ার করুন..
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply