করোনা কালে জরুরী প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার সময় দু ফোটা করে সরিষার তেল নাকের ভিতর দিয়ে তবেই বাইরে বের হওয়ার অনুরোধ রইলো।
এছাড়াও প্রতিদিনের ডায়েটে এই তেলটিকে অন্তর্ভুক্ত করেলে মেলে নানা উপকার। যেমন-
১. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
সরিষার তেল খাওয়া শুরু করলে হার্টের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, বরং কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে সরিষার তেলে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে শুরু করে।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
২. ক্যান্সার রোগের প্রকোপ কমায়
সরিষার তেলে উপস্থিত গ্লকোসুনোলেট এবং মিরোসিনেস নামে দুটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই প্রতিদিন এই তেলটি খেলে এমন ধরনের মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যে অনেকাংশেই হ্রাস পাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
৩. শ্বাস কষ্ট দূর হয়
একাধিক গবেষণায় একথা প্রামাণিত হয়েছে যে শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত যে কোনো ধরনের সমস্যা কমাতে সরিষার তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যারা এমন ধরনের রোগকষ্টে ভুগছেন, তাদের নিয়মিত সরিষার তেল খাওয়া উচিত।
৪. আর্থ্রাইটিস রোগের কষ্ট কমায়
সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, এই দুটি খনিজ সরিষার তেলে খুব বেশি পরিমাণ থাকে, যা আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি এই রোগের প্রকোপ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই যারা এমন ধরনের হাড়ের রোগে ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
সরিষার তেলে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে আমাদের একাধিক রোগের খপ্পর থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬. মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে
মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে ম্যাগনেসিয়াম দারুন কাজে আসে। আর যেমনটা ইতিমধ্যেই আপনারা জেনে গেছেন যে সরিষার তেলে এই খনিজটি বিপুল পরিমাণে থাকে।
তাই এমন তেলে রান্না করা খাবার খেলে মাইগ্রেনের কষ্ট একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, সরিষার তেলে ভাজা মাছ খেলে শরীরে ওমাগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৭. ডায়াটারি ফাইবার
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নানাবিধ পেটের রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় সরিষার তেল। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, যা পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারুন কাজে আসে।
তাই পেটের রোগ থেকে যদি দূরে থাকতে চান তো কখনও সরিষার তেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভাঙবেন না।
৮. সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে
সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এজেন্ট দেহের ভেতরে জীবাণুদের প্রবেশ করতে দেয় না। আর যদি কোনো ক্ষতিকর এজেন্ট প্রবেশ করেও যায়, তাকে মেরে ফেলে। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
প্রসঙ্গত, কোলন এবং ইন্টেস্টাইনে যাতে কোনোভাবে ইনফেকশন না হয়, সরিষার তেল সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৯. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
সরিষার তেলে রয়েছে কপার, আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। এই খনিজগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১০. সরিষার তেলের অন্য উপকারিতা
পেশীর যে কোনো ধরনের যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি ঠাণ্ডা লাগা, পিঠে ব্যথা, এমনকি জ্বরের প্রকোপ কমাতেও সরিষার তেলের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
Copied from Afzal Hossain
Leave a Reply