মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের রায়ের পরও পুলিশি হয়রানির কারেণ দখলে যেতে পারছে না জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের বালিখোলা মৌজার সেঃমেঃ ৭৮৩,১৮৬০ দাগে অবস্থিত মেঘনা ব্রিক ফিল্ডের মালিক মোঃ দানু মিয়া। প্রতিপক্ষের লোকজন পুলিশের সহযোগিতায় মালিক দানু মিয়া তার লোকজন সহ তার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া দুই ছেলের নামেও একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও করেন দানু মিয়া। জানা গেছে, ২০১২ সালের ১১ জুন ৮০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাতলপাড় ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মৃনাল কান্তি দাসের নিকট থেকে ব্রিক ফিল্ডটি খরিদ করেন দানু মিয়া ও হিরা লাল রায়। তারপর থেকেই শুরু হয় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা। এমনকি পুলিশের সহযোগিতায় জোরপূর্বক লুন্ঠন করা হয় তার তৈরী করা ইট। তার লোকজনের উপর চলে কয়েকদফা আক্রমন। দানু মিয়ার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে দায়ের করা হয় একাধিক মিথ্য মামলা মোকদ্দমা। বেশ কয়েকটি মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমানিতও হয়েছে। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ব্রিকফিল্ডের মালিকানা দাবী করে ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর বিজ্ঞ জজ আদালতে মৃনাল কান্তি ও তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৮জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানী ৪৫/১৫ মামলা দায়ের করেন দানু মিয়া। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানির পর ২রা ফেব্রæয়ারী ২০২০ তারিখে দানু মিয়ার মালিকানার পক্ষে রায় প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতের রায়ের পরেও চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক রঞ্জন কুমার ঘোষের হয়রানির কারণে ব্রিকফিল্ডের দখলে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন দানু মিয়া ও তার আইনজীবি এডভোকেট মাজহারুল আনোয়ার মেরাজ। তারা জানান, রায়ের পর কপি তাদের লোকের মাধ্যমে চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার আইও রঞ্জন কুমার ঘোষের নিকট পাঠানো হয়। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরও দানু মিয়ার উপর বন্ধ হয়নি পুলিশী হয়রানি। বর্তমানে দানু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন পুলিশ পরিদর্শক রঞ্জন কুমার ঘোষের ভয়ে আতংকে রয়েছে বলে দাবী করেন দানু মিয়া ও তার আইনজীবি এডঃ মাজহারুল আনোয়ার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক রঞ্জন কুমার ঘোষ রায়ের কোন কপি অফিসিয়ালভাবে পাননি বলে জানান তিনি।
মোঃ আব্দুল হান্নান,
নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মোবাঃ ০১৭১৭৩৫০৮৭৬
Leave a Reply