মো;আলাল উদ্দিন ভৈরব থেকে. আজ সিনিয়র সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক এর শুভ জন্মদিন
মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর নগরী ও রেলওয়ে জংশন ভৈরব। ভৈরব উপজেলা শহর হলেও সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের দিক দিয়ে অনেক জেলার চেয়েও একদাপ এগিয়ে । এই ভৈরব উপজেলায় যিনি ৩০ বছর যাবত সাংবাদিকতা করছেন। যিনি ৬০ বছর বয়সেও প্রচন্ড মানসিক শক্তি , ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার মধ্যে সাধারণ মানুষ কে প্রয়োজনীয় তথ্য সেবা প্রদান ও সচেতন করার কাজটি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে করে যাচ্ছেন ।তিনি হচ্ছেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক । তিনি ১৯৬০ সালের আজকের এই দিনে ভৈরব পৌর এলাকার ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।তার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম আব্দুল খালেক (কালা মিয়া) মাতা আছিয়া খাতুন ।তার দাদা ছিলেন মরহুম হাজী আব্দুল মজিদ মিয়া ভৈরবের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী । পরোপকারী এই মানুষটি ১৯৮৭ সনে নিপুণ পত্রিকার মাধ্যমে শখের বশে সাংবাদিকতায় নাম লিখান।কিন্ত মূলত ১৯৯০ সনের শেষ দিকে দৈনিক খবর পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি পরবর্তীতে ব্যুরো চীফের দায়িত্ব পেয়ে সাংবাদিকতা কে পেশা হিসেবে বেছে নেন । ১৯৯৪ সনে সংবাদ সংস্থা আবাস এর জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পান। ১৯৯৭ সনে নতুন পত্রিকা দৈনিক মুক্তকণ্ঠে ২০০০ সালে দেশের শীর্ষ দৈনিক দৈনিক যুগান্তর ও ২০১৪ সালে যমুনা টেলিভিশন ভৈরব প্রতিনিধির দায়িত্বভার গ্রহন করেন। এছাড়া দেশের অন্যতম অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজে ভৈরব সংবাদদাতা হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠা, সাহসী ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৬ সালের ১৪ এপ্রিল আসাদুজ্জামান ফারুক এর সম্পাদিত সাপ্তাহিক জনপদ সংবাদ একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করেন যা আজো চলমান । এবং কদিনের মধ্যেই অনলাইন জুমের মাধ্যমে এর অনলাইন ভার্সনের শুভ উদ্বোধন করবেন তার খালাতো ভাই মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার ।আসাদুজ্জামান ফারুক একজন সফল সাংবাদিক হিসেবে ভৈরবে প্রতিষ্ঠালাভ করেছেন । একাগ্রতা পরিশ্রম নানা উত্থান পতন চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে তিন আজ পরিপূর্ণ একজন সাংবাদিক । ৩০ বছর যাবত যিনি এ পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন । স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় নানা আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রগামী । সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ভৈরব সাংবাদিক সমিতি ও টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও ভৈরব প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ – সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছন। এর বাইরেও তিনি একজন সফল সার ব্যবসায়ী একারনে তিনি সার ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় পরিচালক ও নির্বাচিত হন। এবং দীর্ঘ দিন জেলার নেতৃত্ব ও দিয়েছেন ।বিশেষ করে তিনি দেশের অন্যতম জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই ভৈরব শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে গত বছর পর্যন্ত সহ- সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন ।১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২২ কর্মীর সাথে তিনিও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৬ মাস কারাভোগ করেন।
পরোপকারী , সদাহাস্যময় আসাদুজ্জামান ফারুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভিন্ন সময় সাংবাদিকতা সহ নানা বিষয় লেখালেখি করে সমালোচিত ও আলোচিত ও হয়েছেন। ফারুক ভাইয়ের চরিত্রের একটি অসামান্য দিক হলো কেউ তাকে মেনে তার কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। ফারুক ভাইয়ের সাথে প্রায় দুই যুগের কাছাকাছি আমার সম্পর্ক সাংবাদিক নেতা ও মুরব্বী হিসেবে নানা সময় নানা কাজে উনার সহযোগিতা নিয়েছি ও পেয়েছি। বিশেষ করে আমি যার হাত ধরে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করি সেই পরম স্নেহভাজন ছোট ভাই সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিন সম্পাদিত আঞ্চলিক জনপ্রিয় পত্রিকা সাপ্তাহিক নিরপেক্ষ অরুণিমার প্রধান প্রতিবেদক ও ফটোসাংবাদিক থাকাকালীন ফারুক ভাই উনার নিজ খরচে আমাকে ঢাকা নিয়ে দৈনিক খবর পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পত্র এনে দেন । যা আমি যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন এই সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ রাখবো।একজন সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে জুনিয়রদের প্রতি আরো সংবেদনশীল হবেন। আমি আশা করি নতুন প্রজন্মের মধ্যে আপনি সব সময় অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকবেন —””–””” আপনার সুন্দর জীবন প্রত্যাশায়, শুভ জন্মদিনে আপনার প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ।
লেখক –”’
মোঃ আলাল উদ্দিন
সাধারণ সম্পাদক
রিপোর্টাস ক্লাব ও ইউনিটি ও
নিরাপদ সড়ক চাই ভৈরব শাখা
Leave a Reply