আবু হানিফ রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি,
গত কয়েক দিনের ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে রৌমারীর জিঞ্জিরাম নদীতে পানি
বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেসে গেছে একমাত্র বঁাশের সঁাকোটি। এতে রৌমারী উপজেলা শহরের
সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় পড়েছে প্রায় ৮ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষের।
উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। গত বুধবার পাহাড়ী
ঢলের স্রোতের তরে বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ৮ জুলাই বুধবার
সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।
এলাকাবাসী সবুজ মিয়া, সুরুজ মিয়া, আব্দুর রহিমসহ অনেকে জানান, প্রায় ৪থশ
ফিট রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় রৌমারী উপজেলার খাঁটিয়ামারী, রতনপুর, চর বামনেরচর,
মোল্লার চর, বেহুলার চর, সুতির পাড়, বোল্লাপাড়া, মাঝিপাড়া (সবুজপাড়া) গ্রামবাসীর
যাতায়াত ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র সড়ক এটি। অন্তত ৮ গ্রামের
মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে কৃষক কৃষি
পূর্ণ বাজারজাত করণ, ধান,শাকসবজি, তরিতরকারি বাজারে আনা নেওয়ার সমসা হচ্ছে।
সেই সাথে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২৫ হাজার লোকজন যাতায়াত করে
থাকেন। বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ
৭ বছর ধরে ৮ গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারা পার হচ্ছে। এর
আগে ওই ভাঙ্গন স্থানে সড়ক , বক্রকালভার্ট, স্লুইজগেট ও বাশেঁর সাঁকো নির্মাণ
করা হয়। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কোনটিই স্থায়ীত্ব হয়নি।
২০০৫ সালে সড়কের মাঝিপাড়া (সবুজপাড়া) গ্রামের পূর্ব পাশে আলমের বাড়িসংলগ্ন
খালের ওপর এলজিইডির অর্থায়নে একটি স্লইজগেট ও খালের বাকি অংশ মাটি ভরাট করে
সড়ক মেরামত করা হয়। পরের বছরই বন্যায় স্লইজগেটটি অক্ষত থাকলেও সড়কের মাটি ভরাট
অংশটুকু ভেঙ্গে যায়। এর কয়েক বছর পর ওই জায়গায় দুইবার মাটি ভরাট করে পুণ:মেরামত
করা হলেও ২০১৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় সড়কের ওই অংশটুকু আবারও ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে
গত ৩০ জুন ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বঁাশের সঁাকোটি।
যোগাযোগ বিছিন্ন হয় ৮ গ্রামের মানুষের চলাচল। একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে
চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও সড়কটি পুণ:সংস্কার বা সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ
নেওয়া হয়নি।
রৌমারী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, এই বাঁশের সাঁকো নিয়ে
অনেক দপ্তরের সাথে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মামুন খান জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। এব্যাপারে
কিছু জানি না।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানান, বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁশের
সাঁকোর স্থানে বড় স্লইজগেট হবে। তবে মহামারী করোনা ভাইরাস ও বর্তমানে বন্যার
কারনে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
Leave a Reply