ফাতেমা লিমা ঃ মেধাবী,কর্মদক্ষ,পরিশমী এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিজ্ঞজন প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বিএনসিসিও ২০১৭ সালের ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে দায়িত্ব নেন।
এরপর থেকে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয়টিকে স্বাভাবিক এবং গতিশীল করতে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
১.তিনি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা সেশনজটের সমস্যা সমাধানের জন্য সচেষ্ট হয়েছেন। এমনকী শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা জানার জন্য নিজে অনেকগুলো বিভাগে ক্লাস নিয়েছেন এবং সেই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।এমনকি তিনি শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অত্যন্ত আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন যাতে তারা তাদের সমস্যার কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারেন।
২.নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক -কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষ করার লক্ষ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।
৩.শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আইডি কার্ড বাধ্যতামুলক করেছেন। এর আগে দুই বছরেও আইডি কার্ড পাওয়া যেত না বলে অভিযোগ ছিল।
৪.পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম ক্যাম্পাস রেডিও স্থাপন করেছেন।
৫.অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেসিডেন্ট সুবিধাসহ স্থায়ী আনসার ক্যাম্প বসিয়েছেন।
৬.দায়িত্ব নেয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে লাইব্রেরি বিকেল ৫টার পরিবর্তে ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছেন।
৭.শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন বাস ক্রয় করেছেন। একাধিক নতুন রোডে বাস চালু করেছেন। সর্বশেষ ট্রিপ বিকেলের পরিবর্তে সন্ধ্যার পর করেছেন।
৮.বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন, ছাত্রীদের আত্নরক্ষা কৌশল শেখার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং মেয়েদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য উইমেন পিস ক্যাফে নামক একটি ক্লাব গঠন করেছেন।
৯.দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ক্যফেটেরিয়া চালু করেছেন ফলে ছাত্র কল্যাণের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি পরিপূর্ণ রূপ পেয়েছে।
১০.ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যলয় করার লক্ষ্যে পুরো ক্যাম্পাসকে ওয়াইফাই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা, প্রতিটি বিভাগে একটা করে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করেছেন।
১১.সব ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দলবাজি ও স্বজনপ্রীতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে তদবিরকে প্রধান অযোগ্যতা ঘোষণা করেছেন।
১২.বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজকে এগিয়ে নিতে একরকম অচল হয়ে পড়া ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউটকে পুনরায় সচল করেছেন এবং সেখানে দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ অন্যান্য পেশাজীবি মানুষ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরা এম. ফিল এবং পি এইচ ডি কোর্সে এনরোল্ড হয়েছেন।
১৩. নিজস্ব জার্নাল প্রকাশনা, পরিবর্ধন এবং পরিমার্জন করে আরো তথ্যভিত্তিক ও মানসম্মত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। পিএইচডি, এমফিলসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নিয়মিত সেমিনারের আয়োজন করছেন। এতে দেশি-বিদেশী বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রেখেছেন।
১৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসন সংকট দুর করতে ছাত্রীহল নির্মান সহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে গতি ফিরিয়ে এনেছেন।
১৫. মহামারী করোনাভাইরাসে শিক্ষার্থীদের হলের সিট ভাড়া মওকুফের পাশাপাশি দারিদ্র শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যলয়ের পক্ষ থেকে এককালীন আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
১৬.করোনা পরিস্থিতিতেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম,শিক্ষকদের প্রোমোশন সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।
এরকম আরো অনেক………
এখানে উল্লেখ্য, আগের দুই উপাচার্য আমলে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল।এখনো অনেকে মনে করে টাকা ছাড়া নাকি এখানে চাকরি হয় না!!! দুর্নীতির মামলায় প্রথম উপাচার্য হিসেবে একজনকে জেলেও যেতে হয়েছিল এবং অন্যজনের বিরুদ্ধে মামলা চলমান।তাদের হেয়ালিপনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি অলরেডি অনেক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিএনসিসিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে এনে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। ফিরে পাচ্ছে শ্ংখলা, আর হারানো ঐতিহ্য ।
Leave a Reply