আরমান হোসেন, আনোয়ারা প্রতিনিধি
আনোয়ারা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোহছেন আউলিয়া সড়কের বেহাল দশায় জনভোগান্তির শেষ নেই।এই সড়কের বটতলী রুস্তমহাট বাজারের লেদু মিয়া মেম্বার মার্কেট থেকে শাহ মোহছেন আউলিয়া মাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশে খানাখন্দে সড়কটি নাজুক অবস্হায় পরিণত হয়েছে।পানি নিষ্কাশন না থাকায় সড়কে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে।অল্প বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে থাকায় যাতায়ত করা দূরহ হয়ে পড়ে।এছাড়া বাজারের ময়লা আবর্জনায় পিচ ঢালা সড়ক কাঁদা হয়ে পড়ায় পায়ে হেঁটে চলাচল করা যায় না।বারি বৃষ্টিতে বটতলী বাজারে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
মোহছেন আউলিয়া সড়কের কালাগাজীর পাড়া ,কান্তির হাট ও কবিরের দোকান এলাকায় বড় বড় গর্তে সড়কটি চলাচল অনুপযোগি হয়ে উঠেছে।এতে কান্তির হাট একশত মিটার সড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি খালে পরিণত হয়েছে।
আনোয়ারার ব্যস্ততম সড়ক মোহছেন আউলিয়া সড়ক দিয়ে বটতলী,বারশত,রায়পুর,
গহিরা,জুইঁদন্ডি,খুরুস্কুলসহ অনেক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে যাতায়ত করছে। সড়কের বেহাল দশা দেখিয়ে বটতলী থেকে সেন্টারে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পথচারী ইরফান বলেন,
বটতলী বাজারের সৃষ্ট গর্ত ও কাঁদার কারণে সড়কটি দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারি না। বৃষ্টি হলে বাজারের উপর হাটতে পারিনা গাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হয়।
স্হানীয় ব্যবসায়ী সায়েম জানান, বাজারের সড়কের সৃষ্ট গর্তের পানি জমে দোকানে ক্রেতা আসতে পারেনা, বৃষ্টি পড়লে ক্রেতা আসতে অনিহা প্রকাশ করে।
রিক্সা চালক শামসু অভিযোগ করে বলেন,বটতলী বাজারের দূর অবস্হার কারণে বার বার গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে।আমাদের কষ্টের সীমা নেই।
জানা যায়,সড়কটিতে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্হা না থাকায় সড়কটি দ্রুত নষ্ট হচ্ছে।গত ৩-৪ বছর ধরে সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বর্ষা শেষ হলে সড়কটি সংস্কারের কাজ করা হবে।
Leave a Reply