প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগের প্রত্যাশা পূরণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরকে একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে দিন-রাত পরিশ্রম করার পাশাপাশি তিনি অনেক নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে সমগ্র ক্যাম্পাসকে ওয়াইফাই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে, প্রতিটি বিভাগে একটি করে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-ফাইলিং, ই-টেন্ডারিং এবং ভেইকেল ট্রাকিং সিস্টেম এর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসব কিছুর মূলে যে মানুষটির অনবদ্য ভূমিকা তিনি আমাদের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার । এছাড়াও, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে যাতায়াতের পরিবহনে ওয়াই-ফাই এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা আধুনিকতার সাথে পরিচিতি পায় এবং যুগোপযোগী জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয় । এ বিষয়ে আরো উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, ভাইস-চ্যান্সেলর অফিস এবং ভিসি বাংলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থা যার মাধ্যমে অনলাইন ভিডিও কনফারেন্স করা যায়। তাছাড়া ঢাকাস্থ লিয়াঁজো অফিসেও রয়েছে অত্যাধুনিক কমিউনিকেশন সিস্টেম এর ব্যবস্থা।
এই করোনা মহামারী সময়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে অনলাইন কনফারেন্স করে যাচ্ছেন। যা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর জন্য এক মাইল ফলক। এই ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন। এছাড়াও স্যার যেকোন জরুরী প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
এই আপদকালীন পরিস্থিতেও বেরোবির সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীদের চলছে নিয়মিত অনলাইন ইন্ডাকশন ট্রেনিং যা শুধু স্যারের কারণেই সম্ভব হয়েছে। এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে কর্মচারীরা আরো বেশি ডিজিটাল জগতের সাথে অভ্যস্ত হতে পেরেছে।
২০১৭ সালের ১৪ই জুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেধাবী, কর্মদক্ষ,নিরলস পরিশ্রমী এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদ এবং দক্ষ আলোচক প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার।
আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত । এখানে যোগদানের সুবাদে আমার সৌভাগ্য হয়েছে এই মহান মানুষটির সাথে কাজ করার এবং তাঁর সান্নিধ্য পেয়ে আমি আমার চিন্তাধারা কিভাবে বিকশিত করা যায় সে বিষয়ে পূর্বের তুলনায় আরো বেশি যত্নশীল হয়েছি।
মূলত কেউ যদি চিন্তা করে, তাহলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আজ যে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আলোকিত হয়েছে সেটা একমাত্র মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার এর কঠোর পরিশ্রমের ফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এই মানুষটির পথ চলার প্রতিটি দিনই যেন এক একটি গল্প। এই গল্পগুলো সাক্ষী দেয় থেমে না থাকা এই মানুষটির নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নের জন্য মাননীয় ভিসি স্যারের হাতে নেয়া নানা রকমের পদক্ষেপ এর মধ্যে অন্যতম একটি পদক্ষেপ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা। আমাদের বিশ্বাস অতি শীঘ্রই স্যারের বিচক্ষণ চিন্তার বদৌলতে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। এভাবেই যেন স্যারের আগামী দিনের পথ চলা শুভ ও সুন্দর হয় সেই কামনা আমাদের সকলের। এত গুণী একজন মানুষের সংস্পর্শে আসতে পেরে আমি সত্যিই অভিভূত।
মোহাম্মদ আরিফুল হাসান
নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
Leave a Reply