মাসুদ রানা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতির অবনিত ঘটেছে। ১৪ জুলাই (মঙ্গোলবার) থেকে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে বন্যার পানি। তলিয়ে গেছে রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার,রাস্তা-ঘাট ও শতশত বাড়িঘর।
অপর দিকে রাজিবপুর উপজেলার রৌমারী টু ঢাকাগামী ডিসি রাস্তা ছাড়া ৩টি ইউনিয়নের সমস্ত এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা চত্বরে হাটু পানি হয়েছে। পাশাপাশি শিশুপার্ক, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, রাস্তা-ঘাট, হাট বাজার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে উপজেলার সাথে অত্র এলাকার সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে রাজিবপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৬ মে:টন চাউল, ৪থশ শুকনো খাবার ও রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ৩থশ শুকনো খাবার বানভাসিদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র, সোনাভরি, জিঞ্জিরাম ও হলহলি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মক ভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। হতাশায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বিপাকে পড়েছেন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগীসহ ঘরের মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে। উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়ন ও মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের মানুষ খুব কষ্টে জীবনযাপন করছে। এখন পর্যন্ত রাজিবপুর উপজেলায় প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে । বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী গ্রামগুলোতে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সেই সাথে রাজিবপুর টু জামালপুর মহাসড়ক চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। যেকোনো সময় মহাসড়কটি ভেঙ্গে রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাদল জানান, আমার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বন্যা দূর্গত এলাকার মানুষকে ৩থশ শুকনো খাবার দিয়েছি এবং আরো দেওয়ার চেষ্টা করবো।
রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আকবর হোসেন (হিরো) বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যতোটুকু পারি বানভাসি পরিবারকে সহযোগিতা করেছি। নিয়মিত খোজ খবর রাখছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবিরুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আটকে পড়া বানভাসিদের নৌকা দিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হচ্ছে এবং যাদের বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে তাদেকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply