মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার প্রজ্ঞাময়, সৎ, আদর্শ, নীতিবান, পরিশ্রমী ও আধুনিক চিন্তা-ধারা সম্বলিত একজন ব্যক্তির নাম।
উপাচার্য হিসেবে যোগদানের শুরু থেকেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সকল চিন্তা, চেতনা ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মূলে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী ও আধুনিকীকরণ।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার গবেষণার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠকে খেলাধুলার মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তিনি।এটি অনস্বীকার্য যে, যে খেলাটি অলিম্পিকে স্থান পেয়েছে সেই খেলার বিষয়ে যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি, তখন মাননীয় ভিসি প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার এই খেলার গুরুত্ব অনুধাবন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এ খেলাটিকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। যা এক বাক্যে বলতে গেলে অতুলনীয়।
দেবী চৌধুরানী রংপুরের একজন নাম করা দক্ষ তলোয়ারবিদ ছিলেন। দেবী চৌধুরানীর এই ঘটনা ১৭০০-১৮০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকের। প্রথমে দেবী চৌধুরানীর নাম ছিল প্রফুল্ল। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের মকসুদ খাঁ গ্রামে ছিল এই দেবী চৌধুরানীর ভবন। দেবী চৌধুরানী এই গ্রামেই থাকতেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেন্সিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন (ফেন্সিং মূলত তলোয়ার বাজি খেলা)। আধুনিকতার ভিত্তি হচ্ছে ইতিহাস আর তাই এই দুটির সংমিশ্রন যেন আমরা না ভুলে যাই সেই লক্ষ্যে ফেন্সিং প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা ডিসিপ্লিন শিখতে পারছে এবং ফোকাসড হতে পারছে। আমাদের মাননীয় উপাচার্য মহোদয় এই জনপ্রিয় খেলাটির মাধ্যমে ছেলে-মেয়ে উভয়কে তলোয়ারবাজীতে পারদর্শী করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি স্যারের আধুনিক চিন্তা -চেতনার প্রতিফলন, যা তিনি শুধু চিন্তার মধ্যে পর্যবসিত রাখেননি বরং বাস্তবে তা রূপায়িত করেছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ফেন্সিং ফেডারেশন হতে ফেন্সিং ক্লাবের অনুমোদন প্রাপ্ত একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় । বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেন্সিং ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার এর নেতৃত্বে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে জাতীয় ফেন্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষ প্রশিক্ষকের দ্বারা ক্যাম্পাসের ১২ জন ছাত্র ও ১২ জন ছাত্রী প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে ফেন্সিং খেলাটি অনুশীলন করে যাচ্ছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে। স্যার এর এই মহৎ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে ফেন্সিং খেলা-ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলার মান উন্নয়নের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন একজন দক্ষ ফেন্সিং কোচকে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে নিয়োগ প্রদান করেন। উক্ত পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হতে পেরে আমি সত্যিই নিজেকে অনেক বেশি সৌভাগ্যবান মনে করি। পরিশেষে এটাই বলব, ক্রীড়া অনুরাগী উপাচার্য হিসেবে তাঁর জুড়ি মেলা সত্যিই দুঃসাধ্য।
মোঃ সোহেল রানা
ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর
শারীরিক শিক্ষা বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। রংপুর-৫৪০৪, বাংলাদেশ
Leave a Reply