নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে পশুর হাট না বসাতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ চার জেলা অধিকতর সংক্রমিত হওয়ায় অনলাইনে পশু কেনাবেচার পরামর্শ দিয়ে অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিধি নিষেধ দেয়া হয়েছে।
বুধবার কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির ফোকাল পয়েন্ট এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীমা নাসরীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবকে এ অনুরোধ করা হয়।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৪তম সভার সুপারিশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধ জীবনযাত্রা উদ্বেগজনক।
এ চিঠিতে অন্যান্য জেলায় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের পাশাপাশি কিছু পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এগুলো হলো:
১. কোরবানির পশুর হাট শহরের অভ্যন্তরে স্থাপন না করা।
২. কোরবানির পশুর হাট খোলা ময়দানে বসানোর ব্যবস্থা করা, যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব।
৩. বয়স্ক ব্যক্তি (৫০ ঊর্ধ্ব) এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের পশুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত রাখা।
৪. পশুর হাটে প্রবেশ এবং বের হওয়ার পৃথক রাস্তার ব্যবস্থা করা।
৫. পশুর হাটে আগতদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।
৬. কোরবানির পশু বাড়িতে জবাই না করে শহরের বাইরে সিটি কর্পোরেশনের দ্বারা নির্ধারিত স্থানে করার ব্যবস্থা করা।
৭. অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে বাড়ির বাইরে কোরবানি দেয়া সম্ভব হলে, তা করার জন্য উৎসাহিত করা।
এর আগে গত ১২ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ঢাকা শহরের বাইরে পশুর হাট বসানোর জন্য এরইমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশন সব ব্যবস্থা করবে।
এদিকে করোনার মধ্যে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গাইডলাইন বাস্তবায়নের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
Leave a Reply