এস.এম অলিউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের মোঃ কাশেম আলি পিতা মৃত আব্দুর রহমান এর বিরুদ্ধে শামীম মিয়া ও বাছির মিয়া উভয় পিতা মৃত দানু মিয়ার বাড়ী অবৈধভাবে দখল করে রাখার অভিযোগ ওঠেছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় গতকাল বুধবার(১৫/৭)ভোরে মৃত দানু মিয়ার স্ত্রী ও পুত্রবধু (বাছির মিয়ার স্ত্রী)ওপর কাশেম আলির স্ত্রী ও দুই পুত্রবধু মিলে আতর্কিত হামলা চালায়।হামলায় দানু মিয়ার স্ত্রী ও পুত্রবধু গুরুতর জখম হয় পাশাপাশি তাদের বাড়িঘরও ভাংচুর করে।এ ঘটনায় মৃত দানু মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ জামিলা খাতুন নিজে বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৬ জনকে আসামী করে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।মামলা নং SDR-৮১১।
ঘটনার মূলে জানা যায়, কাশেম আলি ও মৃত দানু মিয়া সম্পর্কে তারা চাঁচত চাচা হয়।তাদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।দানু মিয়ার দুই ছেলের দাবী তাদের বাবার বাড়ী ৭ শতাংশ জায়গা কাশেম আলি জোরপূর্বক দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে।দানু মিয়ার দুই ছেলে শামীম মিয়া ও বাছির মিয়া উভয়েই প্রবাসে আছে। বাড়ীতে পুরুষ না থাকায় তাদের বাড়ী জোড় করে কাশেম আলি দখল করে রেখেছে। সেটা গ্রামের সর্দার মাতব্বর এর কাছে নালিশ করলে তারা কাশেম আলীকে ৭শতক এর মধ্যে ৩শতক জায়গা দিয়ে দেওয়ার জন্য রায় করে। সেই রায় কাশেম আলি বিচারের সময় মানলেও নির্ধারিত সময় ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও জায়গা ফেরত দেয় নাই। এ দিকে দানু মিয়ার ছেলেরা জায়গা ফিরে পাওয়ার জন্য কোন উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত আদালতে একটি মামলা করেন যা এখনো চলমান।
এ ব্যাপারে কাশেম আলীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বাড়ীতে যাওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কাশেম আলির স্ত্রীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, “আমি ও আমার পত্রবধু কাউকে মারাধরি করি নাই।এসব মিথ্যা কথা।দানু মিয়ার বউ ও ছেলের বউ মিলে আমার বাড়ী ভাংচুর করতে দেখলে আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মারতে শুরু করে।পরবর্তিতে আমার ছেলের বউয়েরা আমাকে উদ্বার করে নিয়ে যায়।তিনি বলেন তারা যদি আমাদের কাছ থেকে জায়গা পায় তাহলে মামলা যেহেতু করা হয়েছে সেহেতু রায়ে যা হয় তা আমরা মানব।যদি তারা আমাদের কাছে জায়গা পায় তা আমরা দিয়ে দিব।”
Leave a Reply