ধর্ম ডেস্ক : ইয়াদ শাকের হানা। ৮০ বছরের প্রবীণ খ্রিস্টান হাফেজ। ১০ বছর ধরে নিজ বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত স্কুলে মুসলিম শিশুদের পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত ও হিফজ শেখানোর দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করে যাচ্ছেন। খ্রিস্টান হয়েও কুরআনের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। খবর আলজাজিরা ডটনেট (আরবি)।
আলজাজিরা ডটনেটে প্রকাশিত নিউজ ও ভিডিও থেকে জানা যায়, ৮০ বছরে প্রবীণ ইয়াদ শাকের হানা বিগত ১০ বছর ধরে নিজ বাড়িতে মুসলিম শিশুদের কুরআন তেলাওয়াত ও হিফজ শেখানোর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মিসরের মাইনা অঞ্চলের অধিবাসী এ প্রবীণ খ্রিস্টান হাফেজের ভিন্নধর্মী কর্মকাণ্ডে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
ইয়াদ শাকের হানা ছোট বেলায় পবিত্র কুরআন হেফজ করেন। ছোটবেলায় মুসলিম বন্ধুদের সঙ্গে স্থানীয় মাদরাসায় পড়ালেখা করেছেন। তিনি তার বাবার কাছ থেকে কুরআনের প্রতি ভালোবাসা লাভ করেন।
কুরআনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে তিনি নিজ বাড়িতে কুরআনের স্কুল খুলে বসেন। গত ১০ বছরে শত শত মুসলিম শিশু তার কাছে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত শেখেন এবং হিফজ সম্পন্ন করেন।
ভিন্নধর্মের (খ্রিস্টান) অনুসারি হলেও ইয়াদ শাকের হানা মুসলিম শিশু-কিশোরদের সামনে কুরআনের শিক্ষা তুলে ধরেন। তিনি তার স্কুলে সামথ্যবানদের কাছ থেকে নামমাত্র ফি গ্রহণ করলেও কাউকেই তিনি অর্থ পরিশোধে বাধ্য করেন না। তার অঞ্চলের মুসলিম শিশুরা তার কাছ থেকে কুরআনের তেলাওয়াত ও হিফজ শিখতে আসেন।
ইয়াদ শাকের হানা বলেন, ‘মহান আল্লাহর বাণী শেখানোই তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। কারণ কুরআনের প্রতিটি ছত্রে মিশে আছে ভালোবাসা ও অনুকম্পার শিক্ষা। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে বসবাসের নীতি ও সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত সবার। ৮০ বছরের প্রবীণ কুরআনের এই খ্রিস্টান শিক্ষককে তার গ্রামবাসী খুবই ভালোবাসেন এবং সম্মান করেন।
ইয়াদ শাকের হানার এ কাজ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের উপর নির্যাতনকারী অন্যান্য ধর্মগোষ্ঠীর কাছে মিসরের ইয়াদ শাকের হানা হতে পারে এক অনুকরণীয় আদর্শ।
Leave a Reply