১৬ জুলাই /২০০৭ বরাবরের মতো সেদিনও সকাল বেলায় সূধাসদনের দিকে ছুটছে মারুফা আক্তার পপি (সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ)
সূধাসদনের কাছাকাছি পৌঁছাতেই দেখলো কয়েকটি গাড়ি বের হয়ে গেলো সূধাসদন থেকে,সামান্য দূর থেকে বুঝতে পারলেন গাড়িগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তার মন ছুয়ে গেলো -দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে বুঝি পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেলো!দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে তারা কোথায় নিয়ে যায়-
এই ভাবনা তাকে ভয়ার্ত করে দিচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে এরকম আশংকার কথা শুনা যাচ্ছিলো।
তিনি গাড়িগুলো লক্ষ করে রাস্তায় দৌড়াচ্ছিলো। একটা মাইক্রোবাস থেকে তাকে ডেকে বলা হলো- আপা এভাবে রাস্তায় দৌড়াচ্ছেন কেন? এক্সিডেন্ট হবে ত!
মাইক্রোবাস স্লো করে দরজা খুলে দিলে পপি গাড়ি তে উঠে বসে।
গাড়িতে সবাই মিডিয়াকর্মী,পরিচিত একজন পপি কে ডেকেছিল।
গাড়িগুলো পৌঁছালো সিএমএম কোর্টে,
সিএমএম কোর্টে পৌঁছার পর গাড়ি থামালে মারুফা আক্তার পপি দৌড়ে শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে যায়।
ইস্পাত কঠিন মনোবল আর আস্হা ধরে রেখেছিলেন সেদিন শেখ হাসিনা।
পুলিশ কর্ডন করে শেখ হাসিনা কে আদালত কক্ষে নিয়ে যায় –
নিরাপত্তার অজুহাতে অনেককেই আদালত কক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
মারুফা আক্তার পপি বাইরে দাড়িয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো এদিক সেদিক ভাবতে থাকে-
তিনি যোগাযোগ করেন এডভোকেট সাহারা খাতুন, মতিয়া চৌধুরী, ডাঃ দীপু মনির সাথে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হতে থাকেন।
এদিকে সিএমএম আদালত শেখ হাসিনা কে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সংসদ ভবনের পাশে সাবজেলে প্রেরণ করা হয়।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর রহমান।
শেখ হাসিনার সেই দিনের গ্রেফতারের স্মৃতি মারুফা আক্তার পপি কে আজও তাড়া করে ফেরে।
স্বজন হারানো শেখ হাসিনা কে অনির্বাচিত ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনের সরকার মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছিল।বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন নেতা এত হামলা মামলার শিকার কেউ হয়নি যতটা শেখ হাসিনা হয়েছে।
গণমানুষের চাপে অবশেষে মুক্তি দিতে হয়েছিল শেখ হাসিনা কে।
মোঃ মশিউর রহমান
সহসভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
শরিফপুর ইউনিয়ন শাখা, জামালপুর সদর।
Leave a Reply