গ্রামীণ সমাজের ভৌগোলিক কাঠামোর এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য খাল। কামারখোলায় কারজন খালের একটি শাখা খাল ও একটি প্রশাখা খাল রয়েছে। স্থানীয় ভাষায় শাখা খালটি কে যইতার খাল ও প্রশাখা খালটিকে চিকন খাল বলা হয়। কামারখোলা গ্রামের কৃষি জমির ফসল উৎপাদনের কাজে এই খালদ্বয়ের ব্যবহার বিশেষ ভাবে গুরত্ববহন করে। অধিক বৃষ্টিপাত হলে খুব কম সময়ে ফসলের মাঠের জলাবদ্ধতাকে নিরসন করে। অনাবৃষ্টির সময় খালে আটকে থাকা পানি কৃষক সেচ কাজে ব্যবহার করে। র্দীঘদিন ধরে এই খালে প্রচুর কচুরিপানা ও ঘাস জমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত বৃষ্টিপাত হওয়াতে কৃষিকের ফসলি জমিতে জলাবদ্ধা দেখা দিয়েছে।
কামারখোলা গ্রামের উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এ বি সিদ্দিক, মো: জয়নাল মেম্বার , সাবেক মানিক মেম্বার , উক্ত গ্রামের সকল সরকারি –বেসরকারি চাকরিজিীবি , প্রবাসীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের যৌথ নির্দেশক্রমে ,আজ কামারখোলা যুবসমাজের অন্যতম সংগঠক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: ওমর ফারুক সাহেবের গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিম গ্রামের কারজন খালের শাখা সংস্কারের কাজ শুরু করেন। ফারুক সাহেব সংবাদ সংগ্রহকারীকে জানান যৌথ উদ্যোগে গ্রাম উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে কামারখোলা যুবসমাজ, আজীবন গ্রামীণ উন্নয়নে কামারখোলা যুব সমাজ সম্পৃক্ত থাকতে চায়। কেননা কামারখোলা যুব সমাজ বিশ্বাস করে গ্রামের উন্নয় হলে দেশের উন্নয় হবে।
এই খাল সংস্কার কাজে আরও দুই দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান। এই মহৎ কাজে সরাসরি অংশগ্রহন করেছেন কামারখোলা গ্রামের পরিচিত মুখ ও মুরব্বী আলমাছ মিয়া , শফিক , লিয়াকত, হাজী শহিদ, সহ কামারখোলা গ্রামেরর যুবরা। যুবকদের মধ্যে কিরন, তামিম, তারেক, সোলায়মান, ইমাম, যুফু , কালাম, শামীম, আরমান, কাসেম, মোতালেব , মাসুদ, মহিউদ্দিন, হুমায়েন, শরিফ, রাসেদ সহ আরও অনেকে। ইতোমধ্যে কামারখোলা যুব সমাজ কর্তৃক গ্রাম উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ অত্র এলাকার সকলের প্রশাংসা পেয়েছে, যা কামারখোলার যুবসমাজকে ভবিষৎতে এই ধরনের কাজে মনোবল অটুট রাখবে। ৫৬ হাজার গ্রামের উন্নয় মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন এই মূলমন্ত্রকে মনে ধারন করে গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে কামারখোলা যুব সমাজ।
Leave a Reply