জলিল, বিশেষ প্রতিনিধি : আরিফ হোসেন খান বাকেরগঞ্জের জনপদে এক আতংকের নামে পরিনত হয়েছে। আগ্নেয় অস্ত্রধারী অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী আরিফের ভয়ে পুরো বাকেরগঞ্জ ভীত। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পর্যন্ত তার এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অবগত ও অতিষ্ট। তার ভয়ে বেশিরভাগ ভুক্ত ভোগী থানা পুলিশের আশ্রয়ে না গিয়ে মুখ বুঝে থাকেন। দুএকজন তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় গেলেও আগাম জামিনের আদেশ যেন তার জন্য তৈরী থাকে। অদৃশ শক্তির ইশারায় বার বারই পেয়ে থাকেন আগাম জামিন কিংবা পুলিশ গ্রেফতার করলেও দু চার দিনেই মিলে যায় জামিন। তাই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে আরিফ। তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে চরাদী এলাকাবাসীর পক্ষে র্যাব ৮ এর অধিনায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে বাকেরগঞ্জের ২ নং চরাদী ইউনিয়ানের ৫নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা আরিফ হোসেন খান (৩৫)। পিতা মোঃ মোশারেফ হোসেন পান্ন খান। এলাকায় দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কায়েম করাই তার নেশা ও পেশা। আর এ কর্মকান্ডের জন্য রয়েছে তার বড় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। যে বাহিনীর সহায়তায় ওই এলাকার বহু নিরীহ মানুষ ও ব্যাবসায়ীদের উপর অত্যাচার চালিয়ে ঘর তথা এলাকা ছাড়া করতে বাধ্য করেছেন। প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ আগ্নেয় অস্ত্র উচিয়ে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি তার নিত্যনৈমেত্তিক বিষয়ে পরিনত হয়েছে।
জানা গেছে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাকেরগঞ্জ থানায় ছিনতাই ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ অন্তত এক ডজন মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তুকোন মামলায় শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি তাকে। এখন সে শুধু চরাদী নয় পুরো বাকেরগঞ্জ জুড়ে সন্ত্রাসীদের গডফাদারের নাম আরিফ। চরাদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম বলেন, তার নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে । মারামারি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের মামলাও রয়েছে।এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম বলেন, একজন লোক ২০ টি মামলা থেকেও জামিনে থাকত পারেন। তবে এতগুলো মামলাধারীরা কোন ভাবেই ভাল প্রকৃতির মানুষ হন না বরিশাল র্যাব ৮ এর মুখপাত্ র(এসি) বলেন অভিযোগের আমলে নিয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সব ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে ।
Leave a Reply