”
২০১৭ সালের ১৪ জুন – বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর আকাশে এক বৈশাখী সূর্যের উদয় হয়। সে সূর্যটির নাম হল প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। আন্দোলন সংগ্রামে উত্তাল ক্যাম্পাসে শান্তির দূত হয়ে আসলেন তিনি। ক্যাম্পাসে এসেই তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতে হাসিমাখা মিষ্টিমুখে ঘোষণা দিলেন আপনাদের যা কিছু সমস্যা আমাকে জানান। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করব। মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার সবসময় নতুন নতুন চিন্তা-চেতনা ও ধারণার অবতারণা করেন। সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন কিংবদন্তীতুল্য মানুষ। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বেরোবি, রংপুর এর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ একটি যুগান্তকারী ও ইতিহাস সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ। প্রত্যেক পেশাজীবী শ্রেণীর প্রশিক্ষণ আছে, শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ছিল না। এই প্রশিক্ষণের সূচনা বেরোবি, রংপুর এর ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে আছে ও থাকবে। আর এই মাইলফলকের রূপায়ক হচ্ছেন আমাদের নিত্য-নতুন চিন্তা-চেতনার উদ্ভাবক, আধুনিক ধারার একজন পথিকৃৎ, সৎ, সাহসী, নির্ভীক ও প্রত্যয়ী মানুষ আমাদের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। বেরোবি, রংপুর এ প্রমীলা ফুটবল ও প্রমীলা ক্রিকেট খেলার সূচনা করেন উপাচার্য মহোদয়। সেইসাথে জাতীয় দিবস এবং বাৎসরিক বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা -কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সজীব ও কর্মচঞ্চল পরিবেশ বজায় রেখেছেন। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সবসময় প্রফুল্ল থাকেন। শুধু কি তাই, উপাচার্য মহোদয় টপ টু বটম একজন সংস্কৃতমনা মানুষ। তিনি সিনেমা, থিয়েটার, নাটক ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। বিভিন্ন বিভাগের কালচারাল প্রোগ্রামে স্যারের সরব উপস্থিতি তার প্রমাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন গাড়ী ক্রয়, গাড়ীর রুট বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্যাফেটেরিয়া চালুকরণ, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুকরণ, নিয়মিত সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন, ডিজিটাল ক্লাসরুম চালুকরণ, সকল দপ্তর অনলাইনের আওতাভুক্ত করা, ই-ফাইলিং সিস্টেম চালুকরণ, বৃক্ষরোপণ ও ক্যাম্পাস রেডিও চালুকরণ মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার এর আধুনিক চিন্তার ফল। বর্তমান উপাচার্য মহোদয় একজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে তিনি কাজ করেন। কাজ করলে সমালোচনা হবে এটিই নিয়ম। বেরোবি, রংপুর সমালোচনা ও আন্দোলনের উর্বর ভূমি। আবার সমালোচনা গণতন্ত্রের একটি সৌন্দর্যও। তিনি সকলের জন্য সমালোচনার দ্বার উন্মুক্ত রেখে বেরোবি, রংপুরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রেখেছেন। এজন্য তাঁকে আধুনিক গণতন্ত্রের একজন বাহক হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। একজন শ্রেষ্ঠ গবেষক এবং গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বেরোবির বিভিন্ন বিভাগে রেকর্ড সংখ্যক জার্নাল প্রকাশের কৃতিত্বও উপাচার্য মহোদয়ের। একদিন উপাচার্য মহোদয়কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, স্যার আপনি বিশ্রাম নেন কখন? স্যার বলেছিলেন, আমার জীবনের বড় অর্জন আমি ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বিশ্রাম নেব কবরে গিয়ে। এখন বিশ্রামের সময় নয়, সময় এখন কাজের। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নিখুঁত সমাধান স্যারের একটি বিশেষ গুণ। মাত্র ৪ বছরে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বেরোবি, রংপুরের যা কিছু উন্নয়ন তা মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের সুদূরপ্রসারী চিন্তা-চেতনার ফল। আর যা কিছু সম্ভব হয়নি তা আমাদের অনেকের মানসিক দীনতা ও হীনমন্যতার কারণ। একজন আদর্শ প্রশাসক, এ যুগের গণতন্ত্রের একজন বাহক, সর্বমহলে প্রশংসিত কালজয়ী একজন শিক্ষক, গবেষক ও গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে সকল ভুল-ত্রুটি ও বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে উপাচার্য মহোদয় তাঁর সম্মোহনী ক্ষমতার বলে বেরোবি, রংপুরকে বিশ্ব দরবারে উচ্চতর মর্যাদায় আসীন করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
ড. মোঃ. তানজিউল ইসলাম
সহযোগী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
Leave a Reply