জলিল : বাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরসহ শতাধিক গ্রামে হুহু করে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। গত বছরে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেই বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এবারেও তলিয়ে গেছে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা পরিষদ ও মডেল থানা।
আস্তে আস্তে তলিয়ে যাচ্ছে পুরো নগর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু পরিবারের মানুষ। বাড়ছে দুর্ভোগ। প্রধান প্রধান সড়কগুলো তলিয়ে যাচ্ছে প্লাবিত পানির নিচে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়তে শুরু করেছে।
জানা গেছে, জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করলেও এখনো বিপদসীমার শুক্রবার ১২টা পর্যন্ত ৮৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গ্রাম গুলো এখনোও বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেল না উপজেলা সদর। গত বছরের বন্যার পানির তোড়ে কাঁচকোচ বাজার এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে গেলেও তা মেরামত না করায় এবারের বন্যায় দ্রুত বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে শহরে। গত দু’দিনে বন্যার পানিতে উপজেলা পরিষদসহ আশপাশের বেশকিছু এলাকা নুতুন করে প্লাবিত হচ্ছে।
ফলে কয়েক হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় শহরের আশপাশের বেশ কিছু পরিবার কেচি সড়ক ও রেল লাইনের ধারে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছে।
অনেকের আশ্রয় মিললেও অনেকেই আবার আশ্রয়ের ভাগ্য জুটি নি। দুর্ভোগ বাড়ছে বন্যাকবলিত মানুষের। রেল লাইন ও কেচি সড়কে আশ্রয় নেওয়া একাধিক লোক জানান, শহর রক্ষা বাঁধটি মেরামত না করায় তাদেরকে বন্যার পানিতে ভেসে যেতে হচ্ছে। উপজেলা সদরসহ শতাধিক গ্রাম নুতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানির যে গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই পরিমান পানি কমছে না। পানিতে উপজেলা পরিষদ ও থানা তলিয়ে যাওয়ায় আবাসিক কোয়াটারে অবস্থান নেয়া পরিবার গুলো বিশুদ্ধপানি সংকটে পড়েছে। এছাড়াও তারা বাড়ি থেকে বের হতেও পারছে না। উপজেলা পরিষদ ও থানা তলিয়ে যাওয়ায় দাপ্তরিক কার্যক্রমের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে।
Leave a Reply