কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার হোসেন ইমাম সরকারী বেতন উত্তোলন করলেও সরকারী চাকুরীর পাশাপাশি একটি নার্সিং ইন্সটিটিউট করেছেন এবং প্রাইভেট হাসপাতাল করেছেন এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টার চালাচ্ছেন। সরকারী চাকুরীবিধি অনুযায়ী এগুলো সবই অবৈধ। সরকারী চাকুরীজীবী কোন ডাক্তার শুধুমাত্র প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন। কিন্তু কোন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে পারবেন না বলে চাকুরীবিধিতে স্পষ্ট করা হলেও তিনি সেই আইনকে লঙ্ঘন করে চলেছেন বছরের পর বছর। ডায়াগনষ্টিক হাসপাতাল আইনও লঙ্ঘন করেছেন। যে আইনে রিজেন্ট এবং জেকেজি অবৈধ সেই আইনে নিউ সানও অবৈধ প্রতিষ্ঠান। কারণ ২০১৭ সালের পর থেকে তার লাইসেন্স নবায়ন হয় নাই। এদিকে শুধু নার্সিং ইন্সটিটিউটের ব্যবসায় নয় সেখানকার ছাত্রীদের দিয়ে অবৈধ কর্মকান্ড করানোর অভিযোগ আছে ডাক্তার হোসেন ইমামের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ খোদ তার প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা এক শিক্ষকের। ওই শিক্ষকের নাম রাজু আহমেদ, তিনি বলছেন তিনি হোসেন ইমামের কাছে ১৩ লাখ টাকা পাবেন আর সেই থাকা ফেরত চাওয়ায় হোসেন ইমাম তার অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা একাধিক ছাত্রীকে দিয়ে থানায় শ্লীতাহানির অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে গত ফেব্র“য়ারী মাসে তাদের সাথে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে অভিযোগ দায়ের হয়েছে জুলাই মাসে। দীর্ঘদিন পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ থানা গ্রহণ করা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ৫ মাস আগের একটি ঘটনার বিষয়ে থানা অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়। কারণ, ওপর মহলের তদবির আছে থানায় বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে অভিযোগ সুনিদিষ্ট নয়। একটি অভিযোগে একাধিকজনের সাক্ষর। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত জায়েদ জানান, অভিযোগে একটি অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওটি দেখে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন জায়গায় কোন ছাত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার ফুটেজ পাওয়া যায়নি। আর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া যদি শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয় তাহলে ডাক্তার হোসেন ইমাম ওই মামলার প্রধান আসামী। কারণ ওই অনুষ্ঠানে ডাঃ হোসেন ইমাম বসে আছেন বহাল তবিয়্যতে। যদিও হোসেন ইমাম তার ক্রিসেন্ট নার্সিং ইন্সটিটিউটের মালিকানা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু ক্রিসেন্ট নার্সিং ইন্সষ্ট্রিটিউটের ব্যাংক ষ্ট্রেটমেন্টে দেখা যায় ডাঃ হোসেন ইমামের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন হয়। প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিকানা ডাঃ হোসেন ইমাম অস্বীকার করলেও বাড়ির মালিক বলছেন ডাঃ হোসেন ইমাম তার বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন এবং তার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে।আইন প্রয়োগ এখানে স্থবির ॥ দুদুকের দৃষ্টি আকর্ষণ
নার্সিং ইন্সটিটিউট, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক সরকারী বেতন ভোগী ডাক্তার হোসেন ইমাম
সময়েরদিগন্ত.কম ॥ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার হোসেন ইমাম সরকারী বেতন উত্তোলন করলেও সরকারী চাকুরীর পাশাপাশি একটি নার্সিং ইন্সটিটিউট করেছেন এবং প্রাইভেট হাসপাতাল করেছেন এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টার চালাচ্ছেন। সরকারী চাকুরীবিধি অনুযায়ী এগুলো সবই অবৈধ। সরকারী চাকুরীজীবী কোন ডাক্তার শুধুমাত্র প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন। কিন্তু কোন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে পারবেন না বলে চাকুরীবিধিতে স্পষ্ট করা হলেও তিনি সেই আইনকে লঙ্ঘন করে চলেছেন বছরের পর বছর। ডায়াগনষ্টিক হাসপাতাল আইনও লঙ্ঘন করেছেন। যে আইনে রিজেন্ট এবং জেকেজি অবৈধ সেই আইনে নিউ সানও অবৈধ প্রতিষ্ঠান। কারণ ২০১৭ সালের পর থেকে তার লাইসেন্স নবায়ন হয় নাই। এদিকে শুধু নার্সিং ইন্সটিটিউটের ব্যবসায় নয় সেখানকার ছাত্রীদের দিয়ে অবৈধ কর্মকান্ড করানোর অভিযোগ আছে ডাক্তার হোসেন ইমামের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ খোদ তার প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা এক শিক্ষকের। ওই শিক্ষকের নাম রাজু আহমেদ, তিনি বলছেন তিনি হোসেন ইমামের কাছে ১৩ লাখ টাকা পাবেন আর সেই থাকা ফেরত চাওয়ায় হোসেন ইমাম তার অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা একাধিক ছাত্রীকে দিয়ে থানায় শ্লীতাহানির অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে গত ফেব্র“য়ারী মাসে তাদের সাথে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে অভিযোগ দায়ের হয়েছে জুলাই মাসে। দীর্ঘদিন পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ থানা গ্রহণ করা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ৫ মাস আগের একটি ঘটনার বিষয়ে থানা অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়। কারণ, ওপর মহলের তদবির আছে থানায় বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে অভিযোগ সুনিদিষ্ট নয়। একটি অভিযোগে একাধিকজনের সাক্ষর। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত জায়েদ জানান, অভিযোগে একটি অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওটি দেখে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন জায়গায় কোন ছাত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার ফুটেজ পাওয়া যায়নি। আর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া যদি শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয় তাহলে ডাক্তার হোসেন ইমাম ওই মামলার প্রধান আসামী। কারণ ওই অনুষ্ঠানে ডাঃ হোসেন ইমাম বসে আছেন বহাল তবিয়্যতে। যদিও হোসেন ইমাম তার ক্রিসেন্ট নার্সিং ইন্সটিটিউটের মালিকানা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু ক্রিসেন্ট নার্সিং ইন্সষ্ট্রিটিউটের ব্যাংক ষ্ট্রেটমেন্টে দেখা যায় ডাঃ হোসেন ইমামের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন হয়। প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিকানা ডাঃ হোসেন ইমাম অস্বীকার করলেও বাড়ির মালিক বলছেন ডাঃ হোসেন ইমাম তার বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন এবং তার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে।
Leave a Reply