আঃজলিল : ২০ জুলাই বিকাল ৫ টায় যশোর আইন জীবি ভবনের সামনে পাটকল বন্দের প্রতিবাদী মানব প্রাচীর অনুষ্ঠিত। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)র দেশব্যাপী কর্মসূচী অংশ হিসাবে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সিপিবি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, বাসদ (মার্কসবাদী) , বাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) যশোর জেলা কমিটি যৌথভাবে পালন করে।
কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন কমরেড তসলিম উর রহমান,কমরেড আবুল হোসেন, কমরেড হাচিনুর রহমান, কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু ও কমরেড আলাউদ্দিন। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ।
এসমায়ে বক্তারা বলেন পাটকল যদি লোকসানই হোত তা হলে ব্যাক্তি উদ্যোগে এত পাটকল কি দেশে গড়ে উঠত। সরকারী পাটকল লোকসানের কারণ হচ্ছে, সাবেকি আমলের ম্যাশিন, সময়ে পাট ক্রয়ের টাকা না দিয়ে অসময়ে বেশি দামে পাট ক্রয়, বিজিএমসির ও সেন্টিগেটের লুটপাট। এরসাথে শ্রমিকের সম্পর্ক কোথায়?
গত বছর চীন প্রস্তাব দিয়েছিল পাটকল গুলি আধুনিকায়ন করে দেবে, উৎপাদিত পাটজাত দ্রব্যের ৬০ ভাগ তারা ক্রয় করবে, বাকী ৪০ ভাগ থেকে দেশের চাহিদা পুরণ করে বাকিটা বিদেশে রফতানি করতে পারব। এ প্রস্তাব কেন, কাদের স্বার্থে বা কাদের কারণে গ্রহন করা হ’ল না জাতি জানতে চায়।
বেসকারী করণের ফল তো করোণা কালে আমরা দেখতে পাচ্ছি,হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি স্বাস্থ্য খাতে। ২/১ জন সাহেদ, সাবরিনা সামনে এসেছে, যা কোটি টাকার কেচ। শত হাজার কোটি টাকার কেচ মিঠুরা সামনে আসছে না। চিকিৎসা, টেষ্টের নামে মানুষকে গণ হত্যার পথ ধরেছে বেসরকারী চিকিৎসা ব্যাবস্থা।
তাই রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল অধুনিকায়ন করে খুলে দেওয়া হোক। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাতীয় করণ ও সংবিধান রক্ষা করতে হরতাল অবোরধের মত কর্মসূচী দেওয়া ছাড়া বিকল্প পথ থকবে না।
Leave a Reply