1. admin@lalsabujerdesh.com : ডেস্ক :
  2. lalsabujerdeshbd@gmail.com : Sohel Ahmed : Sohel Ahmed
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন নামধারী সাংবাদিক ও ২৪ জন অসাংবাদিক সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা। নিহত সেনা সদস্য নাজিম উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চার বছরের কণ্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে (৫৫) বছরের বৃদ্ধা আটক সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বীর শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেননি বঙ্গবন্ধু : ড.কলিমউল্লাহ খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ১ মার্চ মাস থেকেই কার্যকর আজ বিশ্বনাথে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের কর্মসূচী কবি এস.পি.সেবু ভৈরবের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক আব্দুল হালিম ইস্পাহানীয়ানস্’৮৫ মিলন মেলা পালিত।

পলকে পদ্মায় হারিয়ে গেল দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয়টি

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০
  • ২০৪ বার

মাদারীপুর প্রতিনিধি : চরাঞ্চলের বাতিঘর হিসেবে দীর্ঘদিন ঐতিহ্য ধরে রেখেছিল মাদারীপুরের শিবচরের বন্দরখোলার এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ার কারিগর এ বিদ্যালয়ের সেই ঐতিহ্য আর রইল না। পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বহু বছরের পুরোনো বিদ্যালয়টি।

বুধবার মধ্যরাতে চোখের পলকে এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনটি গিলে খায় সর্বনাশা পদ্মা নদী। ভবনের মাঝ বরাবর ফেটে গিয়ে হেলে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় ভবনের সামান্য অংশই নদীর বুকে মাথা তুলে থাকতে দেখা গেছে। এর আগে সপ্তাহখানেকের টাকা বর্ষণ ও পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে পানি ঢুকে পড়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে স্থাপিত হয় নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। এটিই ছিল চরাঞ্চলের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন, বহুতল ভবন ও আধুনিক সুবিধা সম্বলিত উচ্চ বিদ্যালয়। শিবচরের বন্দরখোলা ইউপির মমিন উদ্দিন হাওলাদারকান্দি, জব্বার আলী মুন্সিকান্দি, বজলু মোড়লের কান্দি, মিয়া আজম ব্যাপারীর কান্দি, রহমত হাজীর কান্দি, জয়েন উদ্দিন শেখ কান্দি, মসত খাঁর কান্দিসহ প্রায় ২৪টি গ্রাম ও ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুরসহ কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো।

এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে ছুটছে মানুষ। এছাড়া ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দী জীবনযাপন করছে হাজারো পরিবার।

স্থানীয়রা জানায়, পদ্মার নিকটবর্তী হওয়ায় প্রতি বছরই বন্যার পানিতে ডুবে যেত বিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা। গত বছর পদ্মা নদী ভাঙতে ভাঙতে পেছন দিক দিয়ে বিদ্যালয়টির কাছে চলে আসে। এরপর ওই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকিয়ে রাখে। চলতি বর্ষা মৌসুমেও ভাঙন ঠেকাতে ডাম্পিং চালানো হয়। তবে পদ্মার প্রচণ্ড স্রোতের কারণে জিও ব্যাগের ডাম্পিং কোনো কাজে দেয়নি। বুধবার রাতে তিনতলা ভবনটি হেলে পড়ে। বৃহস্পতিবার পুরোপুরি তলিয়ে যায় বিদ্যালয়টি।

বন্দরখোলা ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. ইসমাইল জানান, বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই বিদ্যালয় ভবনের ভেতর থেকে বিকট শব্দ হতে থাকে। খবর পেয়ে অসংখ্য মানুষ ট্রলারে করে বিদ্যালয়টি দেখতে আসে। চোখের সামনেই বিদ্যালয়টি মাঝখান থেকে ফেটে গিয়ে পেছন দিকে নদীর বুকে হেলে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..