মোঃ ফায়েল মাহমুদ
(সন্দ্বীপ প্রতিনিধি)
গাছুয়ার ৪ নং ওয়ার্ডের কমর আলী হাজীর বাড়ির মৃত সাইফুল ইসলাম ( সেলিম মাষ্টারের) ওয়ারিশদের বসত ভিটা দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই ওয়ার্ডের জনাব ফেরদৌস মেম্বারের (সাবেক)বিরুদ্ধে। খোজ নিয়ে জানা যায় মৃত সাইফুল ইসলাম (সেলিম মাষ্টারের) ছেলে তারিকুল ইসলাম টিপু তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে পাকা ভবন উঠাতে গেলে পাশের বাড়ির ফেরদৌস মেম্বার( সাবেক) তাকে বাধা দেয়( তারিকুল ইসলাম কে)।এই নিয়ে একটি গ্রাম্য শালিসি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়।যা গত ৭ ফেব্রুয়ারী তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।গাছুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব আবু হেনা এই সালিসি কমিটির প্রধান।তিনি বাদী পক্ষকে ( ফেরদৌস মেম্বার) তিন মাসের মধ্যে তাদের দাবীর সপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলেন।সেই তিন মাসের সময়সীমা গত ৩০ এপ্রিল শেষ হয়ে গেছে।কিন্তু উক্ত সময়ের মধ্যে বাদী পক্ষ তাদের দাবীর সপক্ষে কোন কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি।পরবর্তীতে ফেরদৌস মেম্বারের ছেলে হাসানুজ্জামান একটি অস্পষ্ট ঘষামাজা করা দলিল দাখিল করেন।যাতে ১৯৪৮ সালের একটি সাফকবলা দেখা যায়।যাতে বিক্রিত জমির পরিমান দেখা যায় ২ কাগ ৫ তিল,এবং দলীল দাতা ছিলেন ৪ জন,যা অত্যন্ত অস্পষ্ট ছিল।কিন্তু সালিশ দার গন নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফেরদৌস মেম্বার কে দলীলের অবিকল নকল আনানোর জন্য অনুরোধ করেন।কিন্তু বাদী পক্ষ তা না করে,থানায় অভিযোগ করে।সন্দ্বীপ থানার এ,এস আই জনাব নুরুজ্জামান ওসির পক্ষে এই ব্যাপারে খোজ খবর নেন,তিনিও বাদী পক্ষ কে ১ জুন সময়ের মধ্যে দলীলের অবিকল নকল প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন।কিন্তু বাদী পক্ষ এবারো গড়িমসি শুরু করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলীলের অবিকল নকল দিতে ব্যার্থ হয়।সন্দ্বীপ থানার এ এস,আই জনাব নুরুজ্জামান অতিরিক্ত ৭ দিন করে দুই দফায় মোট ১৪ দিন সময় বাড়িয়ে দেন।তবুও তারা দলীল দাখিল করেনি।ইতিমধ্যে বিবাদী জনাব তারিকুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে নোয়াখালী জেলা সদর থেকে ঐ দলীলের অবিকল নকল সংগ্রহ করে সন্দ্বীপ থানার মাননীয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব শেখ শরীফুল আলমের কাছে জমা দেন।যাতে দেখা যায় বিক্রিত জমির পরিমান ১ কাগ ৫ তিল( অস্পষ্ট দলীলে যা ছিল ২ কাগ ৫ তিল),দলীল দাতা ছিলেন ৩ জন( অস্পষ্ট দলীলে যা ছিল ৪ জন)।এবং বিক্রিত জমির চৌহদ্দী ছিল অন্যত্র,অর্থাৎ তারিকুল ইসলাম টিটুর পিতা সেলিম মাষ্টারের বসত ভিটা থেকে অনেক দুরে। দলীল যাচাই করে তিনি ( ও,সি) বাদী পক্ষের অভিযোগ নাকচ করে দেন।ইতিমধ্যে জনাব তারিকুল ইসলাম তার ঘর নির্মানের কাজ শুরু করলে ফেরদৌস মেম্বারের বড় ছেলে হাসানুজ্জমান ওরফে জাবেদ সেখানে এসে অকথ্য ভাষায় তাকে ( তারিকুল ইসলাম কে) গালাগালি করেন।তার অশ্রাব্য ভাষার গালি থেকে রেহায় পাননি তারিকুল ইসলামের স্ত্রী জনাবা সালেহা বিলকিস,যিনি গাছুয়া মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
ফেরদৌস মেম্বারের ছেলে হাসানুজ্জামান নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখবেন বলে হুমকি দেন। ফেরদৌস মেম্বার ও তারিকুল ইসিলাম কে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করেন।উল্লেক্ষ্য ফেরদৌস মেম্বার একটি হত্যা মামলার আসামী হয়ে দীর্ঘদিন কারাবাসে ছিলেন।তাকে কোন পত্রিকার সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করা হলে,হাসানুজ্জমান তার উত্তর দিতে পারেন নি।এরপর হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে একই বিষয় নিয়ে আবারো মিথ্যে অভিযোগ করেন।
মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যাচাই করে তার অভিযোগ নাকচ করে দেন।এরপর ও ফেরদৌস মেম্বার ও তার ছেলের অপচেষ্টা থেমে থাকেনি।তারা আবার শরণাপন্ন হন সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মাঈন উদ্দীন মিশনের।কিন্তু মাঈন উদ্দিন মিশন দলীলের অবিকল নকল এবং তারিকুল ইসলাম টিটু কর্তৃক দাখিল কৃত কাগজপত্র যাচাই করে, হাসানুজ্জমান কে বকা ঝকা করে ছেড়ে দেন। উক্ত মিথ্যে অভিযোগকারী আর কোন উপায়ন্তর না দেখে এবার তারিকুল ইসলাম টিটু সহ তাকে সহযোগিতা কারী ব্যাক্তিবর্গ কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার শুরু করেন।
তারা তথাকথিত সাংবাদিক সেজে এর সুযোগ নিয়ে সমাজের অনেক মান্যগন্য ব্যাক্তিদের চরিত্রহনন করছেন।কিন্তু জনাব তারিকুল ইসলাম অত্যন্ত সজ্জন ব্যাক্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ( ফেরদৌস মেম্বার) সরকারি রেজিস্ট্রিকৃত দলীল জাল করার মামলা দায়ের করেন নি।এমনকি তার ছেলে হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধেও কোন আইনি ব্যাবস্থা নেন নি।কারন তারিকুল ইসলাম বিশ্বাস করেন ফেরদৌস মেম্বার ও তার ছেলে হাসানুজ্জমান তাদের ভুল বুঝতে পেরে হয়তো শুধরে যাবে।
তবুও ফেরদৌস মেম্বার এখনো তার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।তিনি বিভিন্ন ভাবে তারিকুল ইসলাম কে হয়রানি করার জন্য মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে উকিল নোটিস পাঠাচ্ছে। জনাব তারিকুল ইসলাম এখন নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।হাসানুজ্জামান বিভিন্ন সময় তারিকুল ইসলামের ঘরের পাশে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন,এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।তারিকুল ইসলাম আশংকা করছেন উপরোক্ত দুই ব্যাক্তি হয়তো তার কোন ক্ষতি করতে পারেন।
সম্পুর্ণ ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মাঈন উদ্দিন মিশন।সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব মাহফুজুর রহমান সুমন।গাছুয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব আবু হেনা।সাধারন সম্পাদক জনাব ওমর ফারুক পারবেজ।কালাপানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জনাব তাজুল ইসলাম।
Leave a Reply