আঃজলিল বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৯নং হাজিরবাগ ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ডের কোমর চান্দা গ্রামে পৈত্রিক সম্পদ জোরপূর্বক ভোগ দখল করে রেখেছে আপন ভাই। শুধু জমি ভোগ দখল নয় জমির প্রকৃত মালিকদের রীতিমত অমানুষিক নির্যাতন হুমকি-ধামকি দিয়ে চলেছে।
তথ্যসূত্র, কোমর চান্দা গ্রামের মৃত বাবর আলী মোড়লের ঔরসজাত তিনজন ছেলে ও তিনজন মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার সম্পদ বাংলাদেশ ভূমি আইন অনুযায়ী তার ওই ছয় জন পুত্র-কন্যার উপরে ওয়ারেশ কায়েম হয়। মৃত বাবর আলী মোড়লের ছোট ছেলে নুরুজ্জামান (৪৭) মানসিক প্রতিবন্ধী বানিয়ে তার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছে বিগত 20 বছর যাবৎ। কিন্তু নুরুজ্জামানের ছেলে মোঃ সুমন (২৫) এখন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার দাদার রেখে যাওয়া জমিজমার কাগজপত্র ভূমি অফিস থেকে উত্তোলন করেন।
কাগজপত্র অনুযায়ী সে বুঝতে পারে তাদের জমি প্রকৃত মালিকানা তার বাবা পাইনি। এমতাবস্থায় সুমন ও তার মা বিলকিস বেগম(৪৫) গ্রামের মোড়ল মাতব্বরদের বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু সুমনের চাচা ও চাচাতো ভাই মৃত নুর আহমদের ছেলে মোঃ বাবু (৩৫) ও নুর মোহাম্মদের ছেলে সাগর (২৮) সেই সকল জমি তাদেরকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এবং এদেরকে পেশী শক্তি দিয়ে সহযোগিতা করছে একই দাইদি গোষ্ঠীর মৃত শীতল মোড়লের ছেলে মোঃ নুর আলম (৪৫)। বাবু ও সাগর ঐ নুরআলোমের ইন্ধনে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত নুরুজ্জামান ও তাদের বোন সাফিয়া (৪৫) কে তাদের প্রাপ্ত জমি ভোগ দখল থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।
বর্তমান মানসিক প্রতিবন্ধী নুরুজ্জামান এর ছেলে সুমন তার ফুফু সাফিয়ার কাছ থেকে 30 শতক জমি নগদ টাকায় ক্রয় করে। সেই জমি সাফিয়া সুমনের বাবা নুরুজ্জামানের নামে লিখে দেন। এবং জমি দেখিয়ে দেন। নুরুজ্জামানের ছেলে সুমন সেই জমি খনন করে মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত ঘের তৈরি করেন। ঘের তৈরি করার পর সেখানে কোন কথা সুমন কে না জানিয়ে বাবু ও সাগর নুর আলম এর সহযোগিতায় সেখানে মাছ ছেড়ে দেয়। বিষয়টি সুমন জানতে পারলে সেখানে উপস্থিত হয় এবং সেও সেখানে মাছ ছাড়ে। সুমন মাছ ছাড়ার পরপরই নুর আলম তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে বাবু ও সাগর কে সাথে নিয়ে সুমন ও তার পিতা নুরুজ্জামান ও তার মাতা বিলকিস বেগম কে প্রচন্ড হুমকি-ধামকি গালিগালাজ এবং বেদম মারধরের জন্য উদ্যত হয়। এরকম অবস্থা সৃষ্টি হলে আশপাশের লোকজন বিষয়টি বসাবসি করে মিলিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে কোনরকমে ঠান্ডা করেন।
এই ঘটনার পরও কোন বসাবসির তোয়াক্কা না করে রীতিমত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে কয়েক দফায় বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এসআই হাফিজুর এর মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা হয় নি। চাচা ও চাচাত ভাইদের হুমকি-ধামকি অত্যাচারের সীমা পার হয়ে যাওয়াই নুরুজ্জামানের ছেলে সুমন ও তার ফুফু সাফিয়া বেগম ঝিকরগাছা থানায় একটা সাধারণ অভিযোগ দায়ের করেন।
ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি এভাবে নিজের আপন ভাই কর্তৃক ভোগ দখল করা বাংলাদেশের ভূমি আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
এছাড়াও উক্ত জমি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা অবনতি সহ শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা বিদ্যমান থাকায় বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির দরকার বলে মনে করেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে নুর আলম, বাবু ও সাগর রীতিমত ভয়ঙ্কর রূপ ধরেছে।
সর্বদা ভয়-ভীতি দেখিয়ে সুমন ও তার ফুফুকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। এখন তারা চরম আতঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন।
এ ব্যাপারে মানসিক প্রতিবন্ধী নুরুজ্জামানের ছেলে সুমনের আকুল আবেদন স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে, তিনি ও তার ফুফুর পরিবারবর্গ যেন তাদের প্রকৃত পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পান তাহার যথাবিধি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এবং অচিরেই যেন তারা এই ধরনের বেআইনি হুমকির সম্মুখীন না হন সেই ব্যবস্থা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিনীত আবেদন করেছেন
প্রেরক,
জলিল
বিশেষ প্রতিনিধি
Leave a Reply