মোঃ রেজওয়ান হক (রেজা) ফুলবাড়ী(দিনাজপুর)
প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে গ্রেফতারকৃত ৫ নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলামের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। পুলিশি বাধায় স্বল্প পরিসরে শতাধিক শ্রমিকের অংশগ্রহণে এ বিক্ষোভ পালন করা হয়।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম ৫ নেতার মুক্তি দাবি করে বলেন, “শ্রমিকেরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে। ২৬শে মার্চ হতে খনি লকডাউন করা হলেও সরকার ঘোষিত বেতন এমনকি বোনাসও পায়নি শ্রমিকেরা। আন্দোলন করলে বিভিন্ন ভাবে মামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৫শে জুলাই খনির প্রধান গেট হতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, দপ্তর সম্পাদক এরশাদ আলী, জাতীয় শ্রমিক লীগ বড়পুকুরিয়া শাখার সহ- সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেনকে রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ।
খনি সূত্রে জানা যায়, করোনা জনীত দীর্ঘ ছুটির পর চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম খনিতে কর্মরত ১১৪৭ জন শ্রমিকের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৪২৫ জন শ্রমিককে কাজে যোগদানের উদ্যোগ নেয়। এজন্য প্রথম ধাপে ১০৫ জনকে করোনা পরীক্ষা করতে ২৩শে জুলাই পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। কিন্তু তাদের তালিকা সন্তোষজনক না হওয়ায় শ্রমিক নেতারা তাতে বাধা দেন। ফলে খনি কর্তৃপক্ষের গৃহীত উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৩ ধারায় ( সংরক্ষিত এলাকায় অন্তর্ঘাত মূলক কর্মকান্ড) মামলা করা হয়। যার মামলা নং ৩০, তারিখ ২৫/০৭/২০২০ ইং। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত (অনুল্লেখিত সংখ্যক) ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। এছাড়া চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে খনি কর্তৃপক্ষ দিনাজপুর আদালতে একটি মামলা করেন। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তাদের নামে আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে।
অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং যে সকল শ্রমিক স্বেচ্ছায় কাজে যোগ দিতে আগ্রহী তাদেরকে সহযোগীতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply