বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার- তিনি আমাদের গর্ব, তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজকে আমাদের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পরিচিত এবং তাঁর দেখানো পথ- নির্দেশনা অনুযায়ী চলার কারণে আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি এমন একজন মানুষ যার কথা এক বা দুই বাক্যে বলে শেষ করা যাবে না। আমি নিজেকে অনেক বেশী ভাগ্যবান মনে করি যে, আমি এরকম একজন দেশ বরেণ্য মানুষের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছি।
আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর একজন কর্মচারী। এখানে যোগদান করার পর থেকেই আমি দেখেছি আমাদের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার এমন একজন ব্যক্তি যিনি সব পর্যায়ের মানুষকেই মূল্যায়ন করেন। তিনি কখনো গ্রেড বা শ্রেণীভিত্তিক বৈষম্য করেন না। একটি কথা না বললেই নয়, এখানে যোগদান করার পর যখন আমি দেখলাম আমার কথায় অনেক বেশী আঞ্চলিকতার ছাপ রয়েছে তখন আমি অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লাম। আমাদের শ্রদ্ধেয় উপাচার্য মহোদয় এমন একজন মানুষ যিনি খুব সহজেই মানুষের মনের শঙ্কা দূর করে নতুন অনুপ্রেরণা জাগ্রত করে তুলতে পারেন। তিনি আমাকে সাহস দিলেন যে, আঞ্চলিকতা মোটেই কারও দুর্বলতা নয় বরং এটিকে কিভাবে শক্তিতে রূপান্তর করা যায় সেদিকে জোর দিতে।
এই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে পেরে আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত, তার চেয়ে বেশী আনন্দিত এমন একজন মহান মানুষের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে পারছি বলে। পরিবহন পুলে কাজ করার সুবাদে আমি এই সেক্টরটি নিয়ে কিছু বলতে চাই। এই করোনাকালীন সময়ে একমাত্র মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের অবদানে বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও দুটি নতুন মাইক্রোবাস ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। এই সময়ে যখন সবাই নতুন কোন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকছে তখনও মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রত্যেকের কথা বিবেচনা করে সকলের সুবিধার্থে এবং পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এমন চমৎকার কিছু কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু পরিবহন ব্যবস্থা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে গ্যারেজ নির্মাণ- এই সকল কাজ আজকের এই সময়ে সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র আমাদের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের আশীর্বাদে। আমাদের দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস থাকার পরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রাখেননি। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সকল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুতে সব সময় ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকতা ও কর্মচারীবৃন্দ যাদেরকে নিয়ে তিনি কিভাবে একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে পারবেন সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করার বিষয়টি। দেশ ও দেশের মানুষের কাছে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে, যদি কেউ চেষ্টা করে তাহলে বিন্দু বিন্দু জল দিয়েও মহাসাগর তৈরি করা যায় ।
আর তাই এই মানুষটি সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে অনেক চ্যালেঞ্জিং কাজ বাস্তবায়ন করে আসছেন । সুতরাং, আমি মনে করি তাকে নিয়ে সমালোচনা ও তাঁর বিষয়ে কটুক্তি না করে তাঁর নির্দেশনা অনুসরণ করে আমরা সবাই মিলে কিভাবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরকে একটি সুন্দর ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশের কাছে ও দেশের মানুষের কাছে এবং বিশ্বের সামনে তুলে ধরব সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাই, সেটাই আমাদের সবার জন্য উত্তম হবে। এই মানুষটি সমগ্র দেশের সম্পদ। আমাদের দেশ ও মানুষের কল্যাণে সব সময় নিরলসভাবে কাজ করেন। আমি এই মানুষটির শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে সব সময় তাঁর মঙ্গলের জন্য আল্লাহ্র দরবারে প্রার্থনা করি এবং আজীবন করবো।
উবাইদুল ইসলাম
ড্রাইভার, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
Leave a Reply